নেত্রকোনা: নেত্রকোনার মদনে এখলাছ মিয়া (৩৩) নামে প্রবাস ফেরত এক যুবককে পেট্রোল দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে আটক করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৪, ময়মনসিংহের উপ-পরিচালক অপারেশনস অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটক দুজন হলেন এখলাছ মিয়ার স্ত্রী মুক্তা আক্তার এবং শাশুড়ি লুৎফুন নেছা।
মামলার এজহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছয় বছর আগে কেন্দুয়া থানার পাছর (মাইজপাড়া) গ্রামের এখলাছ মিয়ার সঙ্গে মদন থানাধীন বাড়রী (সুতিয়ারপাড়) গ্রামের মুক্তা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর এখলাছ মিয়া বিদেশে চলে যাওয়ার পর তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে থাকতেন। এখলাছ বিদেশ থেকে সব টাকা তার স্ত্রীর কাছেই পাঠাতেন। পাঁচ বছর পর দেশে ফিরে এখলাছ স্ত্রীকে আনতে গিয়ে পাঠানো টাকা বুঝে নিতে চাইলে মুক্তা তার সঙ্গে যেতে ও টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এনিয়ে ঝগড়া হয় তাদের। একপর্যায়ে মুক্তা ও তার মাসহ কয়েকজন এখলাছ মিয়ার হাত-পা বেঁধে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে এখলাছ মিয়াকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এরপর তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ নভেম্বর মৃত্যু হয় তার।
এদিকে এখলাছের গায়ে আগুন ধরানোর পর তার চাচাতো ভাই মো. জসিম উদ্দিন (৫২) বাদী হয়ে নিহতের স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও অজ্ঞাতনামা তিন/চারজনকে আসামি করে মদন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
এখলাছের মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়।
এদিকে ঘটনার পর থেকে আসামিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।
পরে র্যাব ২৩ নভেম্বর রাতে ময়মনসিংহ মহানগরের সানকিপাড়ায় অভিযান চালিয়ে মুক্তা ও তার মাকে আটক করে। পরে তাদের মদন থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৩
এসআই