যশোর: যশোরে চালের বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতির লাগাম কোনোভাবেই টানা যাচ্ছে না। ফলে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামের আগুনের সঙ্গে চালের উচ্চমূল্যে সাধারণ মানুষ এখন জেরবার।
এক চাল কিনতে গিয়েই ক্রেতাদের এখন নাভিশ্বাস ওঠার মতো অবস্থা। মান ও প্রকার ভেদে কেজি প্রতি চালের দাম ৭ থেকে ১০ বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের সমন্বয়ে অনেকেই চিকন চালের পরিবর্তে মোট চাল নেওয়া শুরু করেছেন।
ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ও বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার না থাকায় চালের দাম ক্রমশ বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। একটু দাম কমের আশায় ক্রেতারা এ দোকান সে দোকান ঘুরে দামাদামি করছেন।
বড় বাজারের চালের দোকান জাকির এন্টারপ্রাইজের মালিক জাকির হোসেনসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, মান ভেদে চালের দাম সামান্য বেড়েছে।
স্থানীয় বাজার ঘুরে জানা গেছে, স্বর্ণা চাল খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪৯-৫০ টাকায়। অথচ বছরের শুরুতে এ চাল বিক্রি হয়েছে ৪৩ থেকে ৪৬ টাকা কেজি। দেশি বাসমতি চালের দাম ৬৮ থেকে ৭০ টাকা কেজি, যা বছরের শুরুতে বিক্রি হয়েছে ৬৪ থেকে ৬৬ টাকায়। মিনিকেট চালের দাম ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজি, যা বছরের শুরুতে ছিল ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা। কাজল লতা বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা কেজি। বছরের শুরুতে এ চালের দাম ছিল ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। বি-আর-২৮ মানের চালের দাম কেজি প্রতি ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আর বছরের শুরুতে এটি ছিল ৫২ থেকে ৫৬ টাকা।
এ ব্যাপারে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা যে দামে চাল কিনছেন তার সঙ্গে সামান্য কিছু লাভে তা বিক্রি করছেন। পাইকার ও অটো রাইসমিল মালিকরা চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করেন। তাদের এক্ষেত্রে কিছু করার থাকে না।
কামাল হোসেন, বিপ্লব দাশসহ অন্তত ১০ জন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সমন্বয় হচ্ছে না। চালসহ সব ধরনের নিত্য পণ্যের দাম লাগামহীন। ফলে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে বেঁচে থাকাটা কষ্টকর হয়ে পড়ছে।
শহরের রেল বাজারে চালের দাম নিয়ে আলাপচারিতায় সালমা আক্তার নামে এক গৃহিণী বলেন, মধ্যবিত্ত মানুষরা চালের দাম বৃদ্ধিতে পড়েছেন বিপাকে। মোটা চাল খাওয়ায় অভ্যস্ত না হলেও দাম বৃদ্ধির কারণে সেটি করতে হচ্ছে। দিনকে দিন চালের দাম নাগাল ছাড়া হওয়ার দশা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৩
ইউজি/এফআর