নীলফামারী: ছুটে চলেছে ঢাকা-চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি। কয়েকদিন ধরে ট্রেনটি একটু দেরিতে চলাচল করছে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টা ২৩ মিনিটে কমলাপুর থেকে ছেড়েছে ট্রেনটি। এমন সময় ‘গ’ কোচ, স্নিগ্ধার এটেন্ডেন্ট মাসুদ এসে জানালো ‘গ’ কোচে একজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে গেছেন। পিএ অপারেটরকে মাইকে ঘোষণা করতে বলা হলো।
ঘোষণা শোনার পর একজন নারী ডাক্তার ও একজন পুরুষ ডাক্তারকে পাওয়া গেল। উনারা এসে বৃদ্ধ আফাজউদ্দিনকে (৭৬) প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেন। ব্লাড প্রেসার (বিপি) মাপা হলো। সকাল থেকে না খাওয়া যাত্রী সুগার কমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে গেছেন বলে জানালেন ডাক্তার।
ট্রেনের মধ্যে যখন কোনো যাত্রী অসুস্থ হয়ে যায়, তখন তার মতো অসহায় মনে হয় আর কেউ হয় না। সেই সময় রেলওয়ের রানিং স্টাফ, ট্রেনের যাত্রী, যাত্রীরুপী কিছু মহামানব ডাক্তার সেই সময় রোগীর পরম আত্মীয় হয়ে দাঁড়ায়।
এদিনও এর ব্যতিক্রম হলো না। ঘোষণা শুনে ছুটে এলেন ডা. কাবেরী জাহান। চিকিৎসা দিলেন। মায়ের মমতা নিয়ে রোগীকে স্যালাইন খাওয়ালেন। একজন যাত্রী সেদ্ধ ডিম দিলেন। সেই ডিমও নিজ হাতে খাইয়ে দিলেন ডাক্তার সাহেব।
স্যালাইন সরবরাহ করলেন খাবার গাড়ির আরমান। সার্বিকভাবে সহযোগিতা করলেন পুলিশের টিজি পার্টির ইনচার্জ জরিফুল ইসলাম, সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা। সমন্বয় করলেন আমিরুল হক জাহেদী, টিটিই রাশেদুজ্জামান, টিটিই,পার্বতীপুর হেড কোয়ার্টার, টিটিই গৌর চন্দ্র সিং সান্তাহার হেড কোয়ার্টার।
যাত্রীর অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাত্রীকে আহসানগঞ্জ স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হলো। যাত্রীর জামাই এসে নিয়ে গেলেন তাকে। নামার পর বৃদ্ধ যাত্রীর চোখের দু’ফোটা পানিই সবার জন্য দোয়া হয়ে রইলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৩
আরএ