লক্ষ্মীপুর: আজ (শনিবার) সকালে সারা দেশে যে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে তার উৎপত্তিস্থল ছিল লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৮ কিলোমিটার পূর্ব উত্তরে। এটি উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের হানুবাইশ গ্রামে অবস্থিত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রিখটার স্কেল ভূকম্পনটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। এটি মাঝারি আকারের ছিল। গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলসহ জেলার রামগঞ্জ উপজেলার কোথাও কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা কম্পনটি অনুভব করেছেন তীব্রভাবেই।
রামগঞ্জের ভাদুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন বলেন, আমি শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে খাট নড়ে উঠল। আমাদের পুরো বিল্ডিংটাই নড়ছিল। এ ধরনের ভূমিকম্প গত কয়েকবছরে দেখিনি। গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি, আমাদের হানুবাইশ গ্রামে ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থল। তাৎক্ষণিক স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছি। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবুও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
জেলা শহরের বাসিন্দা সুমি আক্তার বলেন, ভূমিকম্প শুরু হলে আমাদের দ্বিতল ভবনটি নড়ে ওঠে। সাথে সাথে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। ভবনের বাসিন্দারা বেরিয়ে বাইরে অবস্থান নিই। তবে কারো কোনো ক্ষতি হয়নি।
২০ বছর বয়সী জিহান নামে এক কলেজছাত্র বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। ভূকম্পনে আমার খাট নড়ে ওঠে। এতে আমার ঘুম ভেঙে যায়। এ ধরনের ভূমিকম্প কখনো আমি অনুভব করিনি।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান বাংলানিউজকে বলেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল রামগঞ্জে হলেও এখানে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আমরা খোঁজ নিয়েছি।
রামগতি প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সোহরাব হোসেন বলেন, রামগঞ্জে ভূকম্পনের উৎপত্তি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আমাদেরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। রামগতিতেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান বলেন, ভূমিকম্পটি রামগঞ্জ থেকে উৎপত্তি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবুও রামগঞ্জ ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জানিয়েছেন, সকাল ৯ টা ৩৫ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে ৫.৬ রিখটার স্কেলের মাঝারি আকারের ভূকম্পনটি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২৩
এসএএইচ