ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

উপজেলা চত্বরে প্রবেশের অপরাধ: ১৭ ঘণ্টা মুরগি আটকে রাখলেন ইউএনও!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৩
উপজেলা চত্বরে প্রবেশের অপরাধ: ১৭ ঘণ্টা মুরগি আটকে রাখলেন ইউএনও! ইউএনও অমিত রায়

দিনাজপুর: ১৭ ঘণ্টা মুরগি ধরে আটকে রাখা ও মালিককে ডেকে এনে অপমান করার অভিযোগ উঠেছে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত রায়ের বিরুদ্ধে।  

জানা গেছে, হাকিমপুর উপজেলা পরিষদে মুরগি প্রবেশ করায় কাজের বুয়াকে দিয়ে সেটিকে ধরে আটকে রাখেন ইউএনও অমিত রায়।

আটকে রাখার ১৭ ঘণ্টা পর মালিককে কার্যালয়ে ডেকে এনে অপমান করে মুরগিটি ছেড়ে দেন তিনি।  

এদিকে, ঘটনাটিকে দুঃখজনক উল্লেখ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-উর-রশিদ হারুন।  

তবে ক্যাম্পাস পরিষ্কার রাখতে এমনটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও অমিত রায়।

গত ২৭ নভেম্বর বিকেলে মুরগির প্রবেশ ও আটকে রাখার এ ঘটনা ঘটে হাকিমপুর উপজেলায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়।

মুরগির মালিক মাকছুদা বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৭ নভেম্বর বিকেলে আমার একটি মুরগি উপজেলা পরিষদে প্রবেশ করলে সেটিকে ধরে বেঁধে রাখেন ইউএনও অমিত রায়। পরে কাজের বুয়ার সহায়তায় আমাকে খুঁজে বের করে অফিসে ডেকে পাঠান। পরদিন ইউএনওর কার্যালয়ে গেলে মুরগি কেন পরিষদে আসে? উচ্চবাক্যে প্রশ্ন করে আমাকে বিভিন্নভাবে অপমান করেন ইউএনও।  

তিনি আরও বলেন, উপজেলা চত্বরে যেন ভবিষ্যতে আপনার মুরগি প্রবেশ না করে এবং প্রবেশ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে আমাকে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেন। একদিন আমার মুরগিটি আটকেও রেখেছিলেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।  

ইউএনওর নির্দেশেই মুরগিটি ধরে আটকে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন অফিস সহকারী লাভলী বেগম।  

এ বিষয়ে ইউএনও অমিত রায় বলেন, আমি মুরগির মালিককে ডেকেছিলাম উপজেলা পরিষদের পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্যই। আমি তাদের উপজেলা পরিষদে মুরগি প্রবেশে জন্য নিরুৎসাহিত করেছি মাত্র।  

হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-উর-রশিদ হারুন বলেন, মুরগি আটকে রাখার বিষয়টি ছোট হলেও দুঃখজনক। মুরগির মালিকসহ মহল্লাবাসী আমার কাছে বিষয়টি নিয়ে এসেছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।