যশোর: জেলার শিল্প-বাণিজ্য নগরী নওয়াপাড়া মোকাম থেকে ব্যবসার নামে ৮০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল বাকি নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন হাফিজ মোড়ল নামে এক ব্যবসায়ী।
এতে মোকামের ১১জন ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তাকে বিভিন্ন এলাকায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
লাপাত্তা হওয়া হাফিজ মোড়ল নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সুপ্তগ্রামের মোশাররফ মোড়লের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন নওয়াপাড়ায় ‘হাফিজ এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাফিজ মোড়ল দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার নামে নওয়াপাড়া মোকামের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মালামাল কিনে বিক্রি করতেন। এসব লেনদেনে তিনি নিজ নামে পূবালী ব্যাংক নওয়াপাড়া শাখার একটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতেন। দীর্ঘদিনের সম্পর্কেও সুবাদে সম্প্রতি ১১ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৮০ লাখের বেশি টাকার মালামাল বাকি নিয়ে তিনি লাপাত্তা হয়েছেন।
এরমধ্যে, থানায় অভিযোগকারী নওয়াপাড়া ধান হাটার সার-কয়লা ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম শেখের ২৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা, নওয়াপাড়া মোকামের ব্যবসায়ী অর্জুন কুমার বিশ্বাসের ১০ লাখ ১০ হাজার টাকা, হাবিবুর রহমানের ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ইকরামুল ইসলামের সাড়ে ৫ লাখ টাকা, জাকির হোসেনের ২ লাখ টাকা, মুস্তাফিজুর রহমানের ২ লাখ টাকা, কনক কুমার দত্তের ৪ লাখ ৬২ হাজার টাকা, রমিত কুমার মণ্ডলের ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, এসএস মুজিবর রহমানের ৯ লাখ ১১ হাজার টাকা, হুমায়ন কবিরের ৬০ হাজার টাকা, সঞ্জয় কুমারের ২ লাখ ২০ হাজার টাকা মিলে ৮০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বাংলানিউজকে জানান, হাফিজ মোড়ল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে পালিয়ে গেছেন। বিষয়টা আঁচ করতে পেরে প্রতারক হাফিজ ও তার ছেলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা ছাড়াও স্ব-স্ব ব্যবসায়ীরা মৌখিকভাবে জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। এসব কর্মকর্তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে গা-ঢাকা দেওয়া ব্যবসায়ী হাফিজ মোড়লের মোবাইলে ফোন করা হলেও বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৩
ইউজি/এসএএইচ