ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মানুষের জন্য ছাড় দেওয়ার মানসিকতাই বড় স্বেচ্ছাসেবিতা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩
মানুষের জন্য ছাড় দেওয়ার মানসিকতাই বড় স্বেচ্ছাসেবিতা 

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে আছে। উপকূলীয় এলাকায় সাইক্লোনসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই থাকে।

এসব দুর্যোগে স্বেচ্ছাসেবীরা মানুষের পাশে এগিয়ে আসে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে যেসব ক্ষতি হচ্ছে সেসব পূরণে স্বেচ্ছাসেবীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ভলান্টারি সার্ভিস ওভারসিস ভিএসও-বাংলাদেশের আয়োজনে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।  

এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ভিএসও-বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর জনাব খাবিরুল হক কামাল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রুনাই দারুস সালামের হাই কমিশনার হারিস ওথমান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) উপ-উপাচার্য প্রফেসর খন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন, আইএলও বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজার একে এম মাসুমুল আলম ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) হামিদ খান, জি আই জেড বাংলাদেশের হামিদুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
ঢাবি ভিসি বলেন, মানুষের জন্য ছাড় দেওয়ার মানসিকতাই হলো বড় স্বেচ্ছাসেবিতা। স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে যুবকদের জন্য ভবিষ্যতে সুন্দর একটি দেশ প্রস্তুত করে রাখতে হবে। স্বেচ্ছাসেবী কাজের মাধ্যমে দেশকে পরিবর্তন করতে হবে। অতীতে স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে এ দেশের স্বেচ্ছাসেবীরা অনেকের জীবন বাঁচিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীরা মানুষকে রক্ষার জন্য জীবনবাজি রেখে কাজ করেছে।  

ভিএসও-বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর খাবিরুল হক কামাল বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ৫০ হাজার ভিএসও স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। ভবিষ্যতে সুন্দর দেশ গড়তে হলে স্বেচ্ছাসেবীদের এগিয়ে আসতে হবে। সব স্বেচ্ছাসেবক একত্রে কাজ করতে পারলে দেশকে একটি সমৃদ্ধির জায়গায় নেওয়া সম্ভব। যারা স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করছে আমরা সব সময় তাদের প্রতি ইতিবাচকভাবে অনুপ্রেরণা দেওয়ার চেষ্টা করি।

তিনি বলেন, সরকার স্বেচ্ছাসেবকদের নানাভাবে সহযোগিতা করছে। আমরা আশাবাদী স্বেচ্ছাসেবীরা আরও কাজের সুবিধা পাবেন। টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করার জন্য, আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং এটাই কাজ করার উপযুক্ত সময়। আমরা বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়শীল দেশ করতে চাই। সেলক্ষ্যে ভিএসও বাংলাদেশ কাজ করছে।

ব্রুনাইয়ের হাই কমিশনার হারিস ওথমান বলেন, স্বেচ্ছাসেবী হলো বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করা। সবাই এটা করতে পারে না। স্বেচ্ছাসেবী হতে হলে উদার মানসিকতার হতে হবে। এই সেমিনার স্বেচ্ছাসেবীদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। তিনি স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে কাজ করার জন্য ভিএসও বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবী কাজের মাধ্যমে মানুষের জীবনের পরিবর্তন করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি এটা স্বেচ্ছাসেবী কাজের মাধ্যমেই সম্ভব। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। একই সঙ্গে সামাজিকভাবে রক্ষা করতে হবে। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী দিবস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক হামিদ খান বলেন, পৃথিবীর যত ভালো কাজ হয়েছে তার পিছনে স্বেচ্ছাসেবীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। যত উন্নয়ন আছে সেখানে স্বেচ্ছাসেবীর ভূমিকা আছে। স্বেচ্ছাসেবী কাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। তরুণ যুবকদের স্বেচ্ছাসেবী কাজে এগিয়ে আসার জন্য সরকার কাজ করছে। সরকার যুবসমাজের কর্মসংস্থানের জন্য কাজ করছে। সরকার ২২ হাজার যুব সংগঠনকে নিবন্ধন দিয়েছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করেছে। এ দেশটিকে এগিয়ে নিতে স্বেচ্ছাসেবী কাজের বিকল্প নেই।

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী দিবস-২০২৩ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ২টি বিষয়ে আলোচনায় আলোচকবৃন্দ তাদের মূল্যবান বক্তব্য দেন এবং আমন্ত্রিত যুবদের প্রশ্নের উত্তর দেন।  
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলার ২০জন শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবী/স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে তাদের অনন্য স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩
টিএ/আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।