ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন

ঢাকা: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, বিশিষ্ট সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ছেলে ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)।

শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ।

তিনি জানান, গুলশানে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।  রোববার (১০ ডিসেম্বর) বাদ যোহরের পর সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

এদিকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

নির্ভীক সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ১৯৪০ সালের জানুয়ারি মাসে পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্কুলের শিক্ষা লাভ করেন কলকাতা, পিরোজপুর ও ঢাকায়। ঢাকার নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হইতে তিনি ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি নিতে ব্যারিস্টারি পড়তে লন্ডন যান এবং মিডল টেম্পল-ইন এ ভর্তি হন। ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি ব্যারিস্টার হিসেবে বার এ যোগ দেন এবং একই বছর ডিসেম্বরে ঢাকা হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন।

লন্ডন অবস্থানকালে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের লন্ডনস্থ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময় তিনি কমনওয়েলথ প্রেস ইনস্টিটিউটেরও একজন সদস্য ছিলেন।

১৯৬৯ সালে বাবার মৃত্যুর পর ইত্তেফাক সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি ইত্তেফাকের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হন।

১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসাবে পিরোজপুর (বরিশাল) জেলার ভান্ডারিয়া-কাঠালিয়া নিয়া গঠিত নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি নিউ নেশন পত্রিকার প্রকাশক।  

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি ও প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশে প্রথম গঠিত প্রেস কমিশনেও তিনি সদস্যও ছিলেন।  তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত (২০০০-২০০১)  ছিলেন।  

ওয়ান-ইলেভেনের পর তিনি এক বৎসর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২৩
ইএস/এমআইএইচ/কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।