ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

র‌্যাব পরিচয়ে ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের ৯ সদস্য আটক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
র‌্যাব পরিচয়ে ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের ৯ সদস্য আটক

বাগেরহাট: বাগেরহাটে র‌্যাব পরিচয়ে ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, চেতনা নাশক ওষুধ, মোটরসাইকেলের ভুয়া ব্লু বুক, নগদ টাকা ও দুটি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে।

 

আইনগত প্রক্রিয়া শেষে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে আটকদের আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

এর আগে ঢাকা, গোপালগঞ্জ ও পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে এই ছিনতাইকারীদের আটক করেন পিবিআই, বাগেরহাটের সদস্যরা।  

বুধবার দুপুরে পিবিআই কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পিবিআই, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুর রহমান এ তথ্য জানান।

আটকরা হলেন- মো. আব্দুল কাদের, মো. বসির উদ্দিন ওরফে সাগর, মো. মহিউদ্দিন, ডালিম, মো. ইমরান মোল্লা ওরফে ইমন, মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে চান মিয়া সিকদার, বাচ্চু, মো. আমির ফকির ও রসুল আমিন এদের বাড়ি গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা।

পুলিশ জানায়, গেল ৭ ডিসেম্বর পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় ছিলেন আলম হাওলাদার নামে এক ইজিবাইকচালক। নিজেকে র‌্যাব পরিচয় দিয়ে মো. বসির উদ্দিন ওরফে সাগর নামে এক ব্যক্তি আলমের ইজিবাইকে ওঠেন। পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরিয়ে আলমকে বাগেরহাটের কচুয়া থানার বাধাল বাজার সংলগ্ন একটি সড়কে প্রবেশ করেন। সেখানে ওৎ পেতে থাকা বাচ্চু এসে বসির উদ্দিনকে বলে তার মোটরসাইকেল পুলিশ আটক করেছে। তখন বসির বলে কাগজ নিয়ে আয়। বাচ্চু আবার কাগজ আনতে বাড়ি যায়। বাচ্চুর আসতে দেরি হওয়ায় বসির ইজিবাইক চালক আলমকে বলে তুমি বাচ্চুর বাড়ি গিয়ে বল যেন ব্লু বুক নিয়ে আসে। আলম বাচ্চুর বাড়ি গেলে, চোর চক্রের আরেক সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে চান মিয়া সিকদার তার কেটে লাইন সচল করে ইজিবাইক নিয়ে গোপালগঞ্জে চলে যায়। পরে ইজিবাইকটি প্রথমে ৬০ হাজার টাকায় এবং পরে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন চোর চক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় ইজিবাইক চালক আলম হাওলাদার বাদী হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দেন।

পিবিআই, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুর রহমান জানান, ইজিবাইক চালক আলমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে চোর চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তারা নিজেদের র‌্যাব পরিচয় দেওয়ার পাশাপাশি নানা কৌশলে চালকের সঙ্গে সুসম্পর্ক করে ফেলতেন। জুসের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে চালককে খাইয়ে ইজিবাইক ছিনতাই করতেন। আলমের ইজিবাইক অনুসন্ধান করতে গিয়ে আমরা আরও একটি ইজিবাইক চুরির ঘটনা উদঘাটন করি। জুসের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে চালককে পান করিয়ে ইজিবাইকটি ছিনতাই করেছিল চোর চক্রের সদস্যরা।

ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে পুলিশ সুপার আরও বলেন, অপরিচিত ও দূরের যাত্রী বহনের ক্ষেত্রে পরিচয় যাচাইয়ের চেষ্টা করতে হবে। যদি সম্ভব হয়, যাত্রীদের ছবি নিকট আত্মীয়দের মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে রাখার অনুরোধ করেন তিনি। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও শিশুদের কাছে ভ্যান ও ইজিবাইক না দেওয়ারও অনুরোধ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।