ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

নৌকার কর্মীদের মারধরের অভিযোগে সাংবাদিকসহ ৩৯ জনের নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
নৌকার কর্মীদের মারধরের অভিযোগে সাংবাদিকসহ ৩৯ জনের নামে মামলা

চাঁদপুর: চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ এনে দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী জাফরসহ ৩৯ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। তবে ঘটনার দিন ও সময় কাজী জাফর ঢাকায় ছিলেন।

পুলিশ বলছে কাজী জাফর ঘটনায় জড়িত না থাকলে তদন্ত করে আইনি প্রক্রিয়ায় তার নাম বাদ দেওয়া হবে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২৫ ডিসেম্বর আনুমানিক দুপুর সাড়ে ১২টায় মতলব উত্তর ছেংগারচর পৌরসভার সুগন্ধী এলাকায় নৌকার কর্মীরা পোস্টার লাগাতে যায়। সেখানে মামলার আসামি মো. আনিছুর রহমান ওরফে কানা আনিছ নামে এক ব্যক্তির নির্দেশে সংঘবদ্ধ আসামিরা নৌকার কর্মীদের মারধর করে এবং তাদের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। একই সময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্থানীয়ভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তারা নৌকার সমর্থকদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। তবে এ ঘটনায় পত্রিকার সম্পাদক কাজী জাফরকে আসামি করা হলেও তার নামে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।

এ ঘটনায় আহত দেখানো হয় নৌকার কর্মী মতলব উত্তর উপজেলার মুদাফর এলাকার মজনু দেওয়ানের ছেলে মো. রুবেল (৩৫) ও একই এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো. শাকিল দেওয়ান (৩৬)। আহতদের পক্ষে থানায় মামলাটি দায়ের করেন মতলব উত্তর ষাটনল বাড়ীভাঙা প্রধানিয়া বাড়ীর নিজাম উদ্দিনের ছেলে ও আহত শাকিলের ছোট ভাই মো. জহিরুল ইসলাম (৩৪)। মামলায় ২৭ জনের নাম ও ১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, মারামারি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে এবং ককটেলের অংশ বিশেষ পেয়েছে। তবে পত্রিকার সম্পাদকের নামে মামলা হয়েছে কিনা বিষয়টি আমরা জানি না। কারণ মামলায় আসামিদের মধ্যে নাম ও বাবার নাম ব্যবহার হয়। তবে আমরা যেহেতু বিষয়টি জানতে পেরেছি তদন্ত শেষে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবাদিকের নাম বাদ দেওয়া হবে।  

এদিকে, দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী জাফরের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর হলেও তিনি অবস্থান করেন ঢাকায়। সেখানে তিনি নিজ কার্যালয়ে পত্রিকা সম্পাদনাসহ নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করায় পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।