গাইবান্ধা: গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাজী নাহিদ রসুলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতামূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে ইমেইলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জেলার কর্মরত স্থানীয় একুশ গণমাধ্যমকর্মী।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে উন্নয়ন সাংবাদিকতা করে আসছেন। সরকার ও প্রশাসনের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড জাতির সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।
কিন্তু গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাজী নাহিদ রসুল জেলায় যোগদানের পর থেকেই স্থানীয় সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলছেন। তিনি কোনো গণমাধ্যমকর্মীর ফোন রিসিভ করেন না। ফলে রাষ্ট্রের স্বার্থে, সংবাদ সংক্রান্ত, ও নির্বাচনী কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাতে পারছেন না সাংবাদিকরা।
এছাড়াও তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাঁর নিয়োজিত এপিএস (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) এর কাছে চিরকুটের মাধ্যমে সাক্ষাতের বিষয় উল্লেখ করতে হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও তার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি পাওয়া যায় না।
জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচিতে কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে আমন্ত্রণ বা অবগত করা হয় না। এমনকি তথ্য সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় কোনো সাংবাদিক প্রবেশ করলে তাকে অপমান করে বের করে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের কারণে তার কার্যালয়ে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাংবাদিকদের সঙ্গে আচরণও নেতিবাচক বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত সংবাদ তৈরিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের বক্তব্য না পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন জেলার গণমাধ্যমকর্মীরা।
পাশাপাশি ফোন না ধরা ও সাক্ষাৎ না করায় প্রশাসনকে নির্বাচনী গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কেউ জানাতে পারছেন না। গত ২৭ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে ইসি সাংবাদিকদের ব্রিফিং শুরু করেন। ব্রিফিংয়ের একপর্যায়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ডিসির বিরুদ্ধে ইসিকে ফোন না ধরার বিষয়টি তুলে ধরেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ নির্বাচন। এ নির্বাচনের আগে তাকে বদলি করা গাইবান্ধার মানুষের কাছে সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এমতাবস্থায় গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাজী নাহিদ রসুল এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য চলতি বছরের ২৭ জুলাই গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন কাজী নাহিদ রসুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২৩
আরএ