ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভাঙ্গায় প্রবাসীর বাড়িসহ ৩ স্থানে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার-টাকা লুট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৪
ভাঙ্গায় প্রবাসীর বাড়িসহ ৩ স্থানে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার-টাকা লুট প্রতীকী ছবি

ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রবাসীর বাড়িসহ পর পর তিন স্থানে ডাকাতি ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা বাড়ির লোকজনকে জিম্মি করে মোট ২৩ ভরি স্বর্ণ, ১১ লাখ টাকা, মোবাইলফোন লুট করে পালিয়েছে।

পর পর তিন স্থানে ডাকাতির ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।  

জানা গেছে, বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাত ২টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মক্রমপুট্টি গ্রামে মালদ্বীপ প্রবাসী বাবুল শেখ বাড়িতে ডাকাতের ঘটনা ঘটে। সেসময় ডাকাতরা বাড়ির জানালার গ্রিল ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ১০ লাখ টাকার ইউএস ডলার, ২০ ভরি স্বর্ণ ও একটি মোবাইলফোন লুট করে করে পালিয়ে যায়।  

ডাকাতির এ ঘটনায় মালদ্বীপ প্রবাসী বাবুল শেখ বলেন, আমি ঘরের মধ্যে ঘুমানো ছিলাম। হঠাৎ একদল মুখোশধারী ডাকাত আমার মুখের ওপর টর্চ লাইট মারে। আমার স্ত্রী টের পেয়ে ঘুম থেকে দাঁড়িয়ে যায়। তখন ডাকাতরা তাকে শাবল দিয়ে আঘাত করে চাবি নিয়ে নেয়। এরপর তারা লোহার আলমারি ভেঙে ১৮-২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১০ লাখ টাকার ইউএস ডলার, একটি মোবাইলফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। পাশের রুমের আমার ছোট ভাইয়ের বউ মোবাইলফোনে গ্রামবাসীকে জানালে তারা এসে ডাকাতদের ধাওয়া করে।  

অপরদিকে, গত ৯ জানুয়ারি রাত ১টার সময় চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্বসদরদী গ্রামে স্কুলশিক্ষক সহিদ মাস্টারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। একদল মুখোশধারী ডাকাতদল প্রথমে ঘরের লোহার গেট ভেঙে ও পরে ঘরের কাঠের দরজা ভেঙে ঘরে ভেতরে ঢুকে পড়ে। তারা আমাদের হাত-পা বেঁধে নগদ এক লাখ টাকা, তিন ভরি স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দেননি।  

অন্যদিকে, নাম প্রকাশ না করা শর্তে জনৈক এক হাইস্কুলের মাস্টার জানান, গত ৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার সময় আমি মালিগ্রাম থেকে ভ্যান যোগে ভাঙ্গায় বাসায় আসছিলাম। পথে বামনকান্দা এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন অস্ত্রধারী আমার পথ গতিরোধ করে সড়কের পাশে নিয়ে যান। আমি শিক্ষক পরিচয় দেওয়ার পর একজন ডাকাত আমাকে স্যার বলে সম্মান করে বলে এই আমার স্যার তাকে কিছু বলিস না। পরে তারা বলল স্যার ২০০ টাকা দেন। আমরা এই কাজ আর করব না। আপনি কাউকে কিছু জানাবেন না। আমি ২০০ টাকা দিয়ে রক্ষা পাই।  

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ বলেন, এসব ডাকাতির ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।