ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টকে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৪
স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টকে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

নোয়াখালী: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নে যুবলীগ কর্মী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট শহিদুজ্জামান পলাশ (৩৫) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মনসুর আলী বেপারী বাড়ির হাজী আবুল কাসেমের ছেলে আহছান উল্যা ওরফে কল্লা হাসান (৩৮), একই ইউনিয়নের অজি উল্যার ছেলে মো. আকবর হোসনে সোহেল (৩৬), নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মির্জানগর গ্রামের অজি বাড়ির নুরনবীর ছেলে মো. মিরাজ (২১)।

ওসি জানান, রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হলেও প্রথমে তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়নি।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ভিকটিম মৃত শহিদুজ্জামান পলাশের মৃত্যুর আগে ও পরের সময়ে আসামিগণ ঘটনাস্থলে অবস্থান করার বিষয়টি স্বীকার করে। আসামিরা তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের সহায়তায় পরস্পর যোগসাজশে পূর্ব শত্রুতার জেরে ভিকটিমকে গুলি করে হত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলায় ঘটনায় জড়িত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার বাদী হয়ে গত রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাতে অজ্ঞাত নামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

এর আগে, গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাটেশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব মির্জানগর গ্রামের নিজ বাড়িতে পলাশ হত্যার শিকার হয়। নিহত পলাশ ওই গ্রামের মৃত জামাল হোসেনের ছেলে।  

যুবলীগ কর্মী হত্যার ঘটনায় তাৎক্ষণিক তীব্র নিন্দা জানিয়ে খুনিদের শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলম।  

মোরশেদ আলম জানান, তিনি গত ১০ বছর নোয়াখালী-২ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। দীর্ঘ এই সময়ে এলাকায় কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা কিংবা হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে অপপ্রচারে নেমেছেন। তবে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানার পর তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সোনাইমুড়ী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ঘটনা প্রসঙ্গে এমপি মোরশেদ আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্ট করেন, ‘গতকাল ৬ নম্বর নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শহিদুজ্জামান পলাশকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। আমি এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরও লেখেন, খুনি যে দলেরই হোক শাস্তি তাকে পেতেই হবে। আমি নিহত পলাশের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। ’

তিনবারের এই সংসদ সদস্য জানান, এই হত্যাকাণ্ড সুষ্ঠু তদন্তে প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানাই। সেই সঙ্গে কোনো নিরীহ লোক যেন হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।