ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মা-মেয়ের সাহসিকতায় ছিনতাই চক্রের ২ সদস্য আটক 

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪
মা-মেয়ের সাহসিকতায় ছিনতাই চক্রের ২ সদস্য আটক  প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজার: জেলার বড়লেখা পৌরশহরের ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে বেরুতেই ছিনতাইকারী চক্রের টার্গেটে পড়েন গৃহবধূ রুজি বেগম ও তার মেয়ে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া রিমা বেগম।  

গলায় ধারাল অস্ত্র ধরে মা ও মেয়ের টাকা, চেকবই এবং মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পরে মা ও মেয়ের সাহসিকতায় চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে ছিনতাইকৃত টাকা ও মোবাইলফোন উদ্ধারের ‘ক্লু’ পেয়েছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী গৃহবধূর নাম রুজি বেগম, উপজেলার কাঠালতলী মাধবগুল (মধ্য) গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী সাইফুদ্দিনের স্ত্রী তিনি।  

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী এসব তথ্য জানান।  

তিনি বলেন, আটকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি ছিনতাইকারীদের ধরার চেষ্টা চলছে। তাদের ব্যবহৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশা থানায় জব্দ রয়েছে। বাকিদের ধরলে ভুক্তভোগীদের টাকা, চেকবই ও মোবাইল ফোন পাওয়া যাবে।

ঘটনার বিষয়ে ভোক্তভোগী রুজি বেগম বলেন, স্বামীর পাঠানো টাকা ইসলামী ব্যাংক বড়লেখা শাখা থেকে উত্তোলন করে কিছু কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফেরার জন্য ব্যাংকের সামনের সড়কের পাশে দাঁড়েই। এসময় একজন সিএনজিচালক ১৫০ টাকায় বাড়ি পৌঁছে দিতে রাজি হলে মেয়েকে নিয়ে গাড়িতে উঠি। কিন্তু আমরা জানতাম না, ওই চালক সঙ্গবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। গাড়িতে বসিয়েই সিএনজিচালক একটু দূরে গিয়ে কোথায় যেন ফোন করে। পরক্ষণে একটি ছেলে এসে তার পাশের সিটে বসতেই সিএনজি ছেড়ে দেয়। চলন্ত অবস্থায় আরও কয়েকবার ফোন করে। তিনি ছিনতাইকারী চক্রের অপর সদস্যদের তাকে ফলো করতে বলে, এতে ঘটনা পরিষ্কার হয়ে ওঠে।

তিনি আরও বলেন, বাড়ির কাছাকাছি একটু নির্জন স্থানে সিএনজি খুব ধীরগতিতে চালাতে থাকে। ঠিক তখনই একটি মোটরসাইকেল ওভারটেক করে সামনে যেতেই চালক সিএনজি থামিয়ে দেয়। মোটরসাইকেল আরোহী তিন যুবক আমার ও আমার মেয়ের গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকার ব্যাগ, ব্যাগে থাকা চেকবই, মেয়ের হাতের পার্স ও টাস মোবাইলফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তখন সিএনজিচালক ও তার সঙ্গে থাকা ছেলেটি ছিল দর্শকের ভূমিকায়। সিএনজি ঘুরিয়ে চলে যেতে চাইলে আমি ও আমার মেয়ে তাদের জাপটে ধরে চিৎকার দিই। তখন লোকজন এসে অটোরিকশাসহ তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

‘পুলিশ কেস’ এর বিষয়ে গৃহবধূ রুজি বেগম বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ থানায় ডেকে নিয়ে লিখিত অভিযোগ নিয়েছেন। থানার ওসি বলেছেন, টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দেবেন। এখনও টাকা কিংবা মোবাইলফোন ফেরত পাইনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪
বিবিবি/এসএএইচ                                  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।