ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পল্লি চিকিৎসকসহ গৃহবধূর ভিডিও ধারণ করে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৪
পল্লি চিকিৎসকসহ গৃহবধূর ভিডিও ধারণ করে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ২

নোয়াখালী: নোয়াখালী সদর উপজেলায় পল্লি চিকিৎসকসহ এক গৃহবধূর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।  একইসঙ্গে পুলিশ পর্নোগ্রাফি ভিডিওসহ দুটি মোবাইলফোন, নগদ টাকা ১০ হাজার টাকা ও এক জোড়া স্বর্ণের দুল উদ্ধার করে।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের দেবীপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মো. আফনান হোসেন শুভ (২০) উপজেলার দেবীপুর গ্রামের আবদুর রহমান মিস্ত্রি বাড়ির হারুনের ছেলে এবং রুহুল আমিন (৩৫) একই গ্রামের নোমান হুজুরের বাড়ির মৃত আহাম্মদ উল্যাহর ছেলে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ জানান, উপজেলার নেয়াজপুরে একজন পল্লি চিকিৎসক (২৯) ৩ জানুয়ারি রাতে তার প্রতিবেশী এক গৃহবধূর ছেলে অসুস্থ হওয়ায় ফার্মেসি বন্ধ করে ওষুধ নিয়ে তার বাড়িতে যায়। ওষুধ দিয়ে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একই এলাকার বখাটে আফনান, রুহুল আমিন ও সোহেলসহ অজ্ঞাতপরিচয় চারজন পল্লি চিকিৎসককে ধারালো ছুরি দেখিয়ে গৃহবধূর বসতঘরে নিয়ে মারধর করেন। এরপর হুমকি-ধমকি দিয়ে জোরপূর্বক উভয়কে উলঙ্গ করে তাদের মোবাইলফোনে আপত্তিকর ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। একপর্যায়ে সেই ভিডি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরপর বিভিন্ন ধাপে পল্লি চিকিৎসকের কাছ থেকে নগদ চার লাখ ১১ হাজার টাকা এবং ওই গৃহবধূর কাছ থেকে তিন আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল নিয়ে যায়।  

ওসি আরও জানান, ভুক্তভোগী পল্লি চিকিৎসক এ ঘটনায় পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আসামিদের সুধারাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পর্নোগ্রাফিসহ চাঁদাবাজির আইনে মামলা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।