ঢাকা: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরেই কৃষকের উৎপাদিত দুধের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত এবং ভোক্তা শ্রেণির মধ্যে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত দুগ্ধ সরবরাহের নিমিত্তে দুগ্ধশিল্প গড়ে তোলার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
তারই ফলশ্রুতিতে দেশের জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং দুগ্ধ সংকট নিরসনে একটি বিপ্লব ঘটে।
বুধবার তেজগাঁও বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড এ এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মোঃ শরিফুল ইসলাম এবং সভাপতিত্ব করেন মিল্ক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু।
মন্ত্রী বলেন, মিল্ক ভিটার পণ্যের গুণগতমান সম্পূর্ণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী হতে হবে কারণ জনগণের পুষ্টি নিশ্চিত করণে কোন প্রকার অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। এ সময় মিল্ক ভিটা পণ্যের চাহিদা ও মান বজায় রেখে সরবরাহ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি আনয়নের মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। মিল্ক ইউনিয়ন দেশের গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নে স্বাধীনতার পর থেকে ভূমিকা রেখে চলেছে। মধ্যস্বত্বভোগী কর্তৃক নিগৃহীত গ্রামের দরিদ্র ও প্রান্তিক দুগ্ধ কৃষকদের সমবায়ের মাধ্যমে সংগঠিত করে এ প্রতিষ্ঠান তাঁদের জন্য একটি ন্যায়ভিত্তিক বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। তাই মিল্ক ভিটার মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৪
টিএ/এমএম