ঢাকা: ২০১২ সালে অস্ত্র ও গুলিসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মো. জাফর (৪০)। পরে তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার কোতোয়ালি থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করা হয়।
জাফর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। নিজের নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে ঢাকার চকবাজার থানাধীন শাহী মসজিদ এলাকায় বসবাস করছিলেন। আদালতে ২২ বছরের সাজা হয় তার। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক থেকে জীপনযাপন করছিলেন আসামি মো. জাফর (৪০)।
সম্প্রতি রাজধানীর চকবাজার এলাকা অভিযান চালিয়ে ২২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. জাফরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১০ এর অপ্স অফিসার উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর চকবাজার এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. জাফর ভোলা জেলার সদর থানার ছোট আলগী গ্রামের শফিক আহম্মদের ছেলে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেপ্তার আসামি মো. জাফর দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ডাকাতি ও অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলেন। তিনি বিগত ২০১২ সালে অস্ত্র ও গুলিসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার হন। পরে তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার কোতোয়ালি থানায় ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়। তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আত্মগোপনে গিয়ে নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে ঢাকার চকবাজার থানার শাহী মসজিদ এলাকায় বসবাস করছিলেন।
তার অনুপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম শেষে আদালত ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(এ) ও ১৯(এফ) ধারায় ২০১৭ সালে ১৫ বছর ও ৭ বছর করে মোট ২২ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
তিনি জানান, দণ্ডিত এ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। থানা পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও তাকে গ্রেপ্তারের করার জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে তাকে চকবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
এসজেএ/জেএইচ