ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিদ্যালয়ের স্থাপনা ভেঙে বাড়ি নিয়ে দুদিন পর ফিরিয়ে দিলেন কমিটির সদস্য

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৪
বিদ্যালয়ের স্থাপনা ভেঙে বাড়ি নিয়ে দুদিন পর ফিরিয়ে দিলেন কমিটির সদস্য

গাইবান্ধা: অনুমতি ছাড়াই বন্ধের দিনে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর এফএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কারযোগ্য স্থাপনা ভেঙে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ইউসুফ মণ্ডলের বিরুদ্ধে।  

পরে অবস্থা বেগতিক দেখে দুই দিন পর স্থাপনার ইট বিদ্যালয়ে ফেরত দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন তিনি।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিন ওই বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এক কোণার সীমানা প্রাচীরসহ সংস্থার সংযোগ টয়লেট ও স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে। পাশের একটি বিল্ডিংয়ের সামনে জড়ো করে রাখা হয়েছে ভাঙা স্থাপনার কয়েকহাজার ইট। সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলায় অনেকটা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।  

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল কদ্দুস মিয়া জানান, কোনো ধরনের রেজুলেশন বা অনুমতি ছাড়াই গত শনিবার (২৬ জানুয়ারি) বিদ্যালয়ের সংস্কার যোগ্য কিছু অংশ ভেঙে ইট নিয়ে যান অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ইউসুফ মণ্ডল। সেদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তিনি বাধা দিতে পারেননি।  

পরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ায় ঘটনার দুই দিন পর সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে ভবনের ইটগুলো ফিরিয়ে দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন ইউসুফ মণ্ডল।

বিদ্যালয়ের ৮ম  শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া আক্তার বলে, ঘটনার পরদিন আমরা স্কুলে এসে দেখি রুম ভাঙা। পরে জানতে পারি ইটগুলো চুরি করে নিয়ে গেছে। সময়মতো রুমটা সংস্কার করা হলে মেয়েদের একটা কমন রুম মিলতো।  

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান বলেন, বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। কমিটির রেজুলেশন বা পূর্বানুমতি ছাড়া বিদ্যালয়ের স্থাপনা ভাঙার অধিকার কারো নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

এদিকে অভিযুক্ত ইউসুফ মণ্ডলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩৫, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।