কুমিল্লা: খেলতে খেলতে দেয়ালের ফাঁক দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ছুঁয়ে ফেলে ৭ বছর বয়সী শিশু আবদুল্লাহ। এ সময় দৌড়ে এসে ছেলেকে টান দেন তার মা।
এতে আবদুল্লাহর কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে বৈদুতিক লাইনে ঝুলতে থাকে। তবে প্রাণে বেঁচে যায় সে। ঘটনার পর পর শিশুটিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় আবদুল্লাহ চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘আমার হাত কই?’
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা নগরীর সংরাইশ এলাকায় ওলিউল্লাহ মিয়ার বাড়িতে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
কবজি হারানো আবদুল্লাহ ওই বাড়ির শামীম আহমেদ ও মমতাজ বেগম দম্পতির ছেলে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মির্জা মুহম্মদ তাইয়েবুল ইসলাম জানান, শিশুকে কবজি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় হাসপাতালে আনেন তার অভিভাবকেরা। আমরা প্লাস্টারসহ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিই।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সরা জানান, কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আবদুল্লাহ শুধু বলছিল, আমার হাত কই? ছেলেটির চিৎকারে উপস্থিত সবার চোখে পানি জমে। আহত আবদুল্লাহকে এখন ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়েছে।
শিশুটির মা মমতাজ বেগম জানান, ছয়তলা ভবনটির ৪ তলায় তারা ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকেন। সকালের দিকে খেলতে খেলতে আবদুল্লাহ দালানের ফাঁক দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্পর্শ করে। আমি উপায় না পেয়ে ছেলেকে জোরে টান দিই। এতে আমার ছেলের কবজি ছিড়ে বৈদ্যুতিক লাইনে ঝুলতে থাকে। তারপর আমার ছেলেকে তার বাবা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখন আবদুল্লাহ কিছুটা সুস্থ আছে। তার একটি অপারেশন হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুস সালাম বলেন, ভবনের পাশে এমন অনিরাপদ বৈদ্যুতিক লাইন সবার জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা বহুবার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করলেও কোনো সুরাহা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪
এসএএইচ