পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে এক মাদরাসায় দুই পদে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে নিয়োগ প্রত্যাশী পরীক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে তৃতীয় বারের মত পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় উপজেলার বেংহারী ইউনিয়নের গড়ের ডাঙ্গা বাজারে অবস্থিত মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মানিকপীর বেংহারী ফাজিল মাদরাসায় অফিস সহকারী ও কাম কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। নানা সমস্যায় পরীক্ষা স্থগিত হলে শুক্রবার দুপুরে সেই নিয়োগের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তবে পরীক্ষার ঠিক আগ মুহূর্তে তিনজন চাকরি প্রত্যাশী পরীক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর বিক্ষোভে তোপের মুখে পড়ে পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
খবর নিয়ে আরও জানা গেছে, এই দুই পদে প্রথম পর্যায়ে মাদরাসাটিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে ঘুষ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগে পরীক্ষা স্থগিত হয়। এর মধ্যে গত তিন মাস আগে ২য় পর্যায়ে ও শুক্রবার ৩য় পর্যায়ে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে আবারও স্থগিত হয় পরীক্ষা।
নিয়োগ প্রত্যাশী পরীক্ষার্থী আরিফুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, পর পর তিনবার ঘুষের বিনিময়ে মাদরাসার প্রধান ও সভাপতি চাকরি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমাদের কাছেও টাকা দাবি করলে চাহিদা মত দিতে না পারায় তেপুকুরিয়া ভক্তের বাড়ি গ্রামের আব্দুল মান্নানকে নিয়োগ দেওয়ার নামে ২৪ লাখ টাকা ও ফের ফেরিয়াপাড় গ্রামের আলিমকে নিয়োগ দেওয়ার নামে ১৬ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে নেয় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। আমরা স্বচ্ছতা ও মেধায় চাকরি চাই। একই কথা বলেন আরও দুইজন পরীক্ষার্থী।
আরও অভিযোগ উঠেছে, প্রভাব খাটিয়ে ঘুষের বিনিময়ে মাদরাসায় নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন মাদরাসার প্রধান ও সভাপতি।
তবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মানিকপীর বেংহারী ফাজিল মাদরাসার সভাপতি আসাদুজ্জামান রাসেল। তিনি বলেন, আমরা অনিবার্য কারণে পরীক্ষা স্থগিত করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
এসএম