ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাসা বদল-পণ্য পরিবহনের চুক্তি, অতঃপর মালামাল নিয়ে উধাও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
বাসা বদল-পণ্য পরিবহনের চুক্তি, অতঃপর মালামাল নিয়ে উধাও কথা বলছেন ডিবি প্রাধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও ইনসাটে গ্রেপ্তারকৃতরা।

ঢাকা: রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাসা পরিবর্তন কিংবা পণ্য পরিবহনের কথা বলে মালামাল আত্মসাৎ করে অন্যত্র বিক্রি, প্রতিবার পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকের নম্বরপ্লেট ও রং পরিবর্তন করে নিজেদের আড়াল করে আসছিল একটি চক্র।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিরপুর, কেরানীগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুরে অভিযান চালিয়ে এ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর বিভাগ।



গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. রাজিব হোসেন (২৪), রাকিব হোসেন (৩০), চয়ন কুমার ঘোষ (৩২) ও রেজাউল করিম (৪৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক ও হাতিয়ে নেওয়া ৬৫টি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়েছে। ’

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টুরোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা দেখতে পাচ্ছি, একটি চক্র রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মাধ্যমে ট্রাকে খাদ্যশস্যসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহন ও বাসা পরিবর্তনে মালামাল পরিবহনের জন্য মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু তারা মালিকের কাছ থেকে মাল বুঝে নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে না দিয়ে নিজেরা অন্যত্র বিক্রি করে দিতো। চক্রের সদস্যরা নিজেদের আড়াল করতে মালামাল পরিবহনের সময় ট্রাকের ভুয়া কাগজপত্র ও ভুয়া নম্বর প্লেট ব্যবহার করতেন। কাজ শেষ হলে তারা গাড়ির রং ও নম্বর পরিবর্তন করে পরবর্তী টার্গেট নির্ধারণ করে প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন।

ডিবিপ্রধান বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি খুলনার সোনাডাঙ্গার এক ব্যবসায়ী নতুন পুরাতন মিলিয়ে ৩৫৫টি ব্যাটারি মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার সুমন ইন্টারপ্রাইজার উদ্দেশ্যে একটি ভাড়া ট্রাকে পাঠান। সঙ্গে তার কর্মচারী বিষ্ণু বিশ্বাসকে পাঠান। সাড়ে ১৫ হাজার টাকা পণ্য পৌঁছে দেওয়ার চুক্তিতে খুলনা থেকে ঢাকায় মালামাল নিয়ে আসছিল। কিন্তু পথিমধ্যে বদলে যায় তাদের গন্তব্য। মুন্সিগঞ্জের বদলে তারা কৌশলে কর্মচারী বিষ্ণুকে মাঝপথে নামিয়ে দিয়ে নিজেদের গন্তব্যে চলে যায়। এরপর ৩৫৫টি ব্যাটারির মধ্যে ২৯০টি তারা রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রি করে দেয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন মার্কেটে চোরাই পণ্য বিক্রি করতেন। আমরা বেশ কিছু নাম-নাম্বার পেয়েছি। যারা চোরাই পণ্য কেনে তারাও চুরি মামলার আসামি হবে। তাই পণ্য কেনা-বেচার সময় ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
পিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।