ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০০ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

চাটমোহরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের ৬ জন আটক

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৪৮ এএম, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
চাটমোহরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের ৬ জন আটক

পাবনা (ঈশ্বরদী): পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলরুটের পাবনার চাটমোহর রেলস্টেশনে অভিযান চালিয়ে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের মূলহোতা শরিফুল ইসলামসহ ৬ জনকে আটক করেছে র‌্যাব।  

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাটমোহর রেলস্টেশন থেকে তাদের আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে বেশকিছু টিকিট, মোবাইল ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়।

আটকরা হলেন- শরিফুল ইসলাম (৩৮), জাহিদুল ইসলাম (৩৪), আরিফুল ইসলাম (৩২), আব্দুল জলিল (৪৫), আনিসুর রহমান (২৮) ও হাবিবুর রহমান (২২)।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১২, সিপিসি-২ পাবনার কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, পাবনার চাটমোহর রেলস্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল একটি চক্র। অভিযোগের ভিত্তিতে বিকেলে অভিযান চালিয়ে টিকিট কালোবাজারি চক্রের মূলহোতা শরিফুল ইসলামসহ উল্লেখিত ৬ জনকে আটক করা হয। এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় বিভিন্ন ট্রেনের ৩৬টি টিকিট, ৭টি মোবাইল ফোন ও টিকিট বিক্রির নগদ ১৫ হাজার টাকা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানায়, চাটমোহর রেলস্টেশনে টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা শরিফুলের নেতৃত্বে এই চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন ধরে চাটমোহর স্টেশন থেকে রাজশাহী-ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস ও ধূমকেতু এক্সপ্রেস এবং খুলনা-ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস, দিনাজপুর-ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিলেন। এ ঘটনায় আটকদের নামে মামলা দায়ের করে চাটমোহর থানায় সোপর্দ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আটকদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, আটক শরিফুলের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা প্রথমত ট্রেনের কাউন্টারে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ যাত্রী, রেলস্টেশনের কুলি, স্টেশনের আশপাশের এলাকার টোকাই, রিকশাওয়ালা ও দিনমজুরদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে টিকিট সংগ্রহ করে থাকেন। এইক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেককে ৪টি করে টিকিট সংগ্রহ করার বিনিময়ে ১০০ টাকা করে দেওয়া হতো।

এ ছাড়াও কাউন্টারে থাকা কিছু অসাধু টিকিট বুকিং কর্মচারীদের দিয়ে বিভিন্ন সাধারণ যাত্রীদের টিকিট কাটার সময় প্রদেয় এনআইডি সংগ্রহ করে রাখতো এবং পরবর্তীতে সেগুলো ব্যবহার করে সংরক্ষণকৃত প্রতিটি এনআইডি দ্বারা ৪টি করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতো। এভাবে তারা প্রতিদিন প্রায় শতাধিক টিকিট সংগ্রহ করতো।

এছাড়া ঈদ, পূজা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিশেষ ছুটির দিনকে উপলক্ষ করে আটকরা তাদের কাছে সংরক্ষিত এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে, এমনকি সার্ভার ডাউন করে তারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতো। আর আটক আরিফুল, আনিছুর, জলিল, জাহিদুল ও হাবিবদের প্রধান কাজ ছিল অনলাইন টিকিট প্রত্যাশীদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে দর কষাকষি করে অনলাইন টিকিটগুলো অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করা।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
আরএ

বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৮ এএম, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪ /

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।