ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘চাঁদপুরের তিন নদীর মোহনার সৌন্দর্য আরও বাড়ানো হবে’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
‘চাঁদপুরের তিন নদীর মোহনার সৌন্দর্য আরও বাড়ানো হবে’ বৃহস্পতিবার চাঁদপুর তিন নদীর মোহনার বড় স্টেশন (মোলহেড) পরিদর্শন করেন রেলওয়ে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।

চাঁদপুর: রেলওয়ে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন, ‘ প্রাকৃতিক কোনো ধরনের পরিবর্তন না এনে চাঁদপুরের তিন নদীর মোহনার সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করা হবে। এখানে যেসব গাছ আছে সেগুলো থাকবে এবং শ্রীবৃদ্ধির জন্য আরও নতুন নতুন গাছ লাগানো হবে।

এছাড়াও সবুজায়ন করার লক্ষ্যে এখানকার ভূমিতে ঘাস লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। একইসঙ্গে এখানে হাঁটার জন্য ফুটপাত বসানো হবে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য থাকবে ক্যাফেটেরিয়া। যাতে করে আগত দর্শনার্থীদের বিভিন্নভাবে সেবা দেওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুর রেলস্টেশনের অবকাঠামোসহ তিন নদীর মোহনার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মহাব্যবস্থাপক বলেন, তিন নদীর মোহনার বিশৃঙ্খল অবস্থাকে একটি নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে। চাঁদপুরবাসী যেন সেখানে অবসর সময় কাটাতে পারেন এবং বিনোদন উপভোগ করতে পারেন।

এসব উন্নয়নে কী পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে পর্যায়ক্রমে উন্নয়ন করা হবে। উন্নয়নের চাহিদার আলোকে ধাপে ধাপে অর্থ বরাদ্দ এবং ব্যয় হবে।

এ সময় চাঁদপুরে আসার কারণ জানান রেলওয়ে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক।

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, রেলওয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে নিয়মিত কাজ। তারই অংশ হিসেবে চাঁদপুরে আসা। এখানে আমাদের বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ চলমান, সেগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। আর এখানে যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেই পরিকল্পনাও করা হবে।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে এলে রেললাইনের পাশে থাকা শহরের বাণিজ্যিক এলাকাগুলোর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সরিয়ে ফেলা হয়। কর্মকর্তারা চলে গেলে আবারও বসানো হয়।  

এ বিষয়ে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে প্রশ্নের জবাবে মহাব্যবস্থাপক বলেন, চট্টগ্রাম থেকে রেললাইনে চাঁদপুরের দূরত্ব ১৬০ কিলোমিটার। সেখান থেকে এসে এসব অবৈধ স্থাপনা আমরা নিয়মিত তদারকি কিংবা উচ্ছেদ করতে পারব না। স্থানীয় প্রশাসন এবং সচেতন নাগরিকরা এগিয়ে না এলে আমাদের একার পক্ষে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তারপরেও আমাদের পরিকল্পনা আছে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে রেলওয়ের সম্পত্তি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আনা কোনোভাবেই অবৈধ দখলদারদের সুযোগ দেওয়া হবে না।

এ সময় রেলওয়ে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম, প্রধান ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী, বিভাগীয় প্রকৌশলী (১) মো. হানিফ, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তারেক মো. ইমরান, সিনিয়র উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ ও পূর্ত) লাকসাম মো. লিয়াকত আলী মজুমদার, রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের চিফ ইনচার্জ মো. সালামত উল্লাহ, চাঁদপুর স্টেশন মাস্টার (ভারপ্রাপ্ত) সোয়াইবুর শিকদার উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মহাব্যবস্থাপকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা তিন নদীর মোহনাসহ স্টেশনের উন্নয়ন কাজ ও অবৈধ স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, ‘ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম’ নামে সাংবাদিকদের একটি সংগঠন বিভিন্ন সময়ে চাঁদপুরকে একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে। বিশেষ করে বড় স্টেশনকে (মোলহেড) আরও চিত্তাকর্ষক করে ও পর্যটনমুখী করতে নানা সময়ে দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।