ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শরীয়তপুরে ধুতুরা পাতার ভাজি খেয়ে একই পরিবারের শিশুসহ ৬ জন হাসপাতালে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪
শরীয়তপুরে ধুতুরা পাতার ভাজি খেয়ে একই পরিবারের শিশুসহ ৬ জন হাসপাতালে

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ধুতুরা পাতার ভাজি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে একই পরিবারের ৩ শিশুসহ ৬ জন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শারমিন আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দুপুর ২টার দিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার দক্ষিণ চরকুমারিয়া এলাকার খাস গাজীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  

অসুস্থরা হলেন-খাস গাজীপুর গ্রামের নুর হক খানের স্ত্রী বেলাতন নেছা (৬০), ছেলে লিটন খান (৪০), পুত্রবধু লাকি বেগম(৩৫), নাতিন সামিয়া (৫), সায়মন (৭) ও লামিয়া (৯)।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাস ধরে লিটন খানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা চর্মরোগজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। পরে স্থানীয়
জয়নাল বেপারীর পরামর্শে রোববার লিটন খান বাড়িতে ধুতুরা পাতা নিয়ে যায়। পরে তার স্ত্রী লাকি বেগম ধুতুরা পাতা ভাজি করলে দুপুরের খাবারের সঙ্গে পরিবারের সবাই খায়। খাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে একে একে পরিবারের সবার মাথা ঘুরানো ও বমি হলে প্রতিবেশীরা তাদের স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হলে সেখান থেকে তাদের ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।

অসুস্থ লিটন খানের বড় ভাই আব্দুর রশিদ খান  বলেন, চর্মরোগের সমস্যার বিষয়টি স্থানীয় জয়নাল আবেদীনকে জানালে সে ধুতুরা পাতা খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে লিটন খান অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর অসংলগ্ন কথা বার্তা বলছেন। যার পরামর্শে তিনি পাতা খেয়েছেন, এখন তার নামও বলতে পারছেন না। ধুতুরা পাতা ভাজি খাওয়ার পর পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমার বৃদ্ধ মা বেলাতন নেছাসহ ছোট শিশুরা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শারমিন আক্তার বলেন, একই পরিবারের ছয়জন ধুতুরা পাতা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারা অনেক সময় পরে হাসপাতালে আসায় ওয়াশ করতে পারিনি আমরা। শিশুরা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রত্যেক রোগীকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।


বাংলাদেশ সময়: ০০৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।