ঢাকা: খাবার রসিকদের জন্য আনন্দের খবর! বাজারে এসেছে ‘আনাগোনা খানাপিনা’ নামে এক অভিনব বই। লেখক কাজী সাজিদুল হকের এই বইটি শুধু খাবারের শুকনো ইতিহাস বা রেসিপির ফুলঝুরি নয়, বরং খাওয়াদাওয়া নিয়ে লেখা কিছু সুখপাঠ্য সরস গল্পের এক অভিযান।
লেখক পৃথিবীর নানা দেশের বিচিত্র খাদ্য-সংস্কৃতির স্বাদ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। সেই খুশবুদার বাস্তব অভিজ্ঞতার আনন্দ তিনি পাঠকদের সঙ্গে এখানে ভাগ করে নিয়েছেন। এর পাশাপাশি স্মৃতির ভাঁড়ার থেকে তুলে এনেছেন স্বদেশের শহর-মফস্বলের সাদামাটা অথচ অনির্বচনীয় খাদ্যবিলাসের চালচিত্রও।
শৈশবের তেলেভাজা, ফুটপাতের মোমো, বিশ্বের নানান মহানগরের অলিগলির রেস্তোরাঁ, ইস্তানবুল ও মোহাম্মদপুরের কাবাব, বঙ্গভবনের ভোজ, ঢিমে আঁচে রান্না লেজ, মধ্য এশিয়ার বাজার, অথেনটিক চাইনিজ বিতর্ক, ঢাকার গ্লাসি - এই বইয়ে সবকিছুই আছে!
এ সম্পর্কে লেখক কাজী সাজিদুল হক বলেন, খাবার আর তার স্বাদ নিয়ে নৈর্ব্যক্তিকভাবে লেখা যায় না। এই বইতে যা লেখা হয়েছে তার সবটাই নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। জীবন থেকে খাওয়া। স্বাদ নিয়ে আমার যা মনে হয়েছে, সেটুকুই লিখেছি। মূল চরিত্র খাবার আর পার্শ্বচরিত্র ‘আমি’। তাই এখানে প্রচণ্ড এবং ভয়ানকভাবে আমিত্ব বর্তমান। দেশে এবং বিদেশে রাস্তার মোমো, কুমিস, ঘোড়ার সসেজ, কলকাতার চাইনিজ, বেইজিংয়ের চাইনিজ, জেনেভার রোস্টি, ঢাকার বিরিয়ানি, তাজিকিস্তানের বাজার, ঢাকার পাড়ার দোকানের খাবারদাবার, সাতক্ষীরার সিরাজের চপ, গুলিস্তানের পূর্ণিমার শিঙাড়া, বিহারি ক্যাম্পের কাবাবের কাহারবা কিংবা টোকিওর হোটেলে সুশি অমলেটের ঝাঁপতাল-সবটা এই মুখে নেওয়া। অবধারিতভাবে আমার বেড়ে ওঠার আরেক জায়গা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েও দু’কথা বলেছি।
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বইটি প্রকাশ করেছে কথাপ্রকাশ। প্রচ্ছদ করেছেন সব্যসাচী হাজরা। গ্রন্থমেলার ২১ নম্বর প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাবে বইটি। শুভেচ্ছা মূল্য রাখা হয়েছে ৪০০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫
এইচএমএস/এমজে