ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

একুশে পদকপ্রাপ্ত জিয়াউল হককে স্কুল কর্তৃপক্ষের সংবর্ধনা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
একুশে পদকপ্রাপ্ত জিয়াউল হককে স্কুল কর্তৃপক্ষের সংবর্ধনা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: ‘বেচি দই, কিনি বই’ স্লোগানের প্রবক্তা সাদা মনের মানুষ সদ্য একুশে পদকপ্রাপ্ত মো. জিয়াউল হককে সংবর্ধনা দিয়েছেন মুশরীভূজা ইউসুফ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।  

পদক অনুষ্ঠানে তার নিজ হাতে গড়া পাঠাগারটি একটি নিজস্ব জায়গায় বর্ধিত কলরবে স্থাপন ও তার বাড়ির পাশের ভোলাহাট উপজেলার মুশরীভূজা ইউসুফ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজটি জাতীয়করণের দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

 

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গুণী এ ব্যক্তিটিকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে সংবর্ধনা প্রদান করল মুশরীভূজা ইউসুফ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।

প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি মো. আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে একুশে সম্মাননা পদকপ্রাপ্ত সাদা মনের মানুষ মো. জিয়াউল হক ও তার স্ত্রী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গোলাম মোহাম্মদ ফিটু মিয়া, দলদলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক চুটু, অধ্যক্ষ মো. আসগর আলী।

জিয়াউল হক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমি দুটো দাবির কথা জানিয়েছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে  তিনি অনুমোদন করেছেন। একটি মুশরীভূজা ইউসুফ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ জাতীয়করণ। অপরটি আমার জিয়াউল হক পাঠাগার ভবন তৈরি।  

তিনি আরও বলেন, এবার ভোলাহাট থেকে রহনপুর ২২ কি.মি. রাস্তার বেহাল অবস্থা। ৩০ মিনিটের জায়গায় ২ ঘণ্টা লেগে যায়। ফলে এ জনদুর্ভোগ বহুদিনের। আমি এ রাস্তা প্রস্তুতকরণসহ নির্মাণ এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল বিলভাতিয়াকে কৃষি ইপিজেড করার দাবি জানাবো।

জিয়াউল হক বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে এলাকার উন্নয়ন হবে। বিলভাতিয়াকে কৃষি ইপিজেড করা হলে সমগ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার উন্নয়ন হবে। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

পদক প্রাপ্তির আগে রহনপুর স্কাউট দল, ভোলাহাট প্রেস ক্লাব, খুলনা পিপি কলেজ, শহিদ সাটু হলে জেলা প্রশাসন (১৯৯৩ সালে), চ্যানেল আই (শহীদ সাটু হলে ২০০৫), নবাবগঞ্জ নয়াগোলা পাঠাগার, ২০০১ সালে ইটিভি (এক বছর বন্ধের পূর্তিতে) ও ২০০৮ সালে ফ্রিডম ফাউন্ডেশন এবং সর্বশেষ ইউনিলিভার বাংলাদেশ ২০০৬ সালে তাকে ‘সাদা মনের মানুষ’ পদকে ভূষিত করেন এবং এসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি তাকে সংবর্ধনা দেয়। তবে পদক প্রাপ্তির পর এটাই তার প্রথম সংবর্ধনা পাওয়া।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি দল একুশে পদকপ্রাপ্ত জিয়াউল হকের পাঠাগার এবং এর জায়গা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে ভোলাহাট পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।