ঢাকা: এবিএম মূসা-সেতারা মূসা আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দৈনিক ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মূসা-সেতারা মূসা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মালেককে এই সম্মাননা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম। সত্যকে প্রতিষ্ঠায় অনেক বাধা আসে। এসব বাধা অতিক্রমে সাহস থাকতে হয়। সেই সাহস এবিএম মুসার ছিল। পাকিস্তান আমলে সাংবাদিকতায় অনেক বেড়াজাল ছিল। সে সব উতরে গেছেন এবিএম মূসা। তার নামে চালু হওয়া পুরস্কার আমাকে দেয়া হলো তাতে আমি খুবই গৌরবান্বিত। যত পুরস্কার পেয়েছি এটিই আমার কাছে সবচেয়ে সম্মানের।
স্মারক বক্তৃতায় ড. কাবেরী বলেন, প্রিন্ট মিডিয়া অনেক বেশি পুরুষতান্ত্রিক। নারীর ইমেজ নির্মাণে প্রিন্ট মিডিয়া অনেক সূক্ষ্ম কৌশলীও। সাম্প্রতিক সময়ে সংবাদপত্রগুলো মাল্টি-মিডিয়া সাংবাদিকতার দিকে ঝুঁকেছে। সেখানে নারীর প্রতি সহিংসতার ভিন্নমাত্রা যুক্ত হয়েছে পাঠকের মন্তব্য ঘরে। যুক্ত হয়েছে অন-লাইন পোর্টাল নামের বিভীষিকাময় ক্লিক-বেইট সাংবাদিকতা, যা অনেক ক্ষেত্রেই নারীকে ধরাশায়ী করার উপায় ও উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
নিউজ ২৪ টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক শাহানাজ মুন্নি বলেন, আমি নারী সাংবাদিকতার উত্থান পতন দেখছি। কখনো খুব আশাবাদী হচ্ছি আবার কখনো হাতাশায় ভেঙে পড়ছি। নারী সাংবাদিকতায় অনেকে টিকে আছেন আবার অনেকে ঝরে পড়ছেন। অনেক নারী সাংবাদিক কর্মরত আছেন। তবে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে বিবেচনা করে দেখা যায় এক তৃতীয় অংশেরও অনেক কম নারী সাংবাদিক গণমাধ্যমে কর্মরত আছেন। একটা দিব্য সাংস্কৃতিক আন্দোলন দরকার। নারী অবস্থান পরিবর্তনের জন্য শুধুমাত্র নারীদের বিষয় নয়, এটা সমাজের প্রত্যেককে চাইতে হবে। বিশেষ করে মিডিয়া জগতের মালিক থেকে শুরু করে নীতি নির্ধারকদের নারীদের পথ চলার পথটি সুগম করতে হবে। অন্যথায় আমরা যতই বলি নারী-পুরুষের বৈষম্য মিডিয়াতে দূর করা দরকার, সেটি কঠিন হয়ে যাবে।
সংবাদ পণ্যে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে ফেনি-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, মার্কেট ইকোনমির কারণে সংবাদ পণ্যে পরিণত হয়েছে। তাই সংবাদপত্রের মালিকানার বিষয়টিও বিবেচনায় আনতে হবে। বর্তমানে সাংবাদিক ও শিক্ষক দুই ভাগে বিভক্ত। কেউ আওয়ামী লীগের শিক্ষক ও সাংবাদিক, কেউ বিএনপির। এটা হয়তো সাময়িক ফল বয়ে আনতে পারে, কিন্তু ভবিষ্যতে এটা পুরো জাতির জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠবে।
দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে ও ঢাবি শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রেস ইন্সটিউডের সাবেক পরিচালক শীমা মুসলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কুর্রাতুল-আইন-তাহ্মিনা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদুল্লাহ রিপন, প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪
এমএমআই/এমএম