বাগেরহাট: খতনা কীভাবে দেয় শিখতে কিশোরের কৌতূহলের বলি হয়েছে তিন বছর বয়সী শিহাব শেখ।
বিকেলে বাড়ির উঠানে খেলছিল শিহাব।
এতে শিশুটির পুরুষাঙ্গ কাটা পড়ে। ব্যথায় শিশু হামিম অচেতন হয়ে পড়ে এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আদালতে সোপর্দ করলে জবানবন্দিতে এসব কথা জানায় ঘাতক হামিম শেখ।
এরপর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আছাদুল ইসলাম হামিম শেখকে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নিহত শিশু শিহাব শেখের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারীতে। উপজেলার হিজলা গ্রামের ফরহাদ শেখের ছেলে সে। একই এলাকার রমজান শেখের ছেলে ঘাতক হামিম শেখ।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঘটনাটি ঘটে। এদিন সন্ধ্যায় অনেক খোঁজাখুঁজির পরও শিহাবকে না পেয়ে রাতে মাইকিং করেন স্থানীয়রা। রাতে হামিমের ঘর সংলগ্ন শৌচাগারের পাশ থেকে শিশু শিহাবের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
ওই রাতেই পুলিশ হামিমকে আটক করে। এ ঘটনায় শিহাবের মা সুমি বেগম বাদী হয়ে হামিমকে আসামি করে চিতলমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যার কারণ সম্পর্কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চিতলমারী থানার ওসি তদন্ত মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, হত্যার দায় স্বীকার করে কিশোর হামিম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে হামিমের মধ্যে সুন্নতে খতনা দেওয়ার কৌতূহল ছিল। এজন্য সে শিহাবকে বেছে নেয়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিহাবকে ডেকে ঘরে নিয়ে যায় হামিম। শিহাবের হাত-পা ও মুখ বেঁধে একটি কাঁচি দিয়ে খতনা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। এক পর্যায়ে শিশু শিহাব অচেতন হয়ে পড়লে তাকে শৌচাগারের পাশে রেখে দেয়। সেখানেই শিহাবের মৃত্যু হয় এবং হামিম বাড়ির বাইরে ঘুরতে থাকে।
পুলিশ পরিদর্শক আরও বলেন, বৃহস্পতিবার বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে শিশু শিহাবের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পারিবারিক কবর স্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। হামিমকে আদালত কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
এসএএইচ