ঢাকা: পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, গণহত্যার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ধরনের নৃশংসতা প্রতিরোধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দায়িত্ব নিয়েও চিন্তাভাবনা করতে হবে।
তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার ব্যাপকতা ও গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।
শনিবার (০২ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব জেনোসাইড অ্যান্ড জাস্টিস (সিএসজিজে) আয়োজিত ৯ম উইন্টার স্কুলের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব এ বিষয়ে কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী এবং প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও গবেষক অধ্যাপক মৌসুমি ভৌমিক। বাংলাদেশ, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবারের উইন্টার স্কুল কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক ও চলমান নৃশংসতাকে গণহত্যার সমতুল্য তুলে ধরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন গাজায় নৃশংসতা এবং নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবিচল অবস্থানের ওপর জোর দেন। তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহানুভূতিশীল সিদ্ধান্তের কথাও তুলে ধরেন।
তিনি উল্লেখ করেন, এই পদক্ষেপগুলো বিশ্বব্যাপী গণহত্যা প্রতিরোধ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষায় বাংলাদেশের অটল অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে। পররাষ্ট্র সচিব আন্তর্জাতিক সচেতনতা বাড়াতে এবং ১৯৭১ সালের গণহত্যার স্বীকৃতি চাওয়ার জন্য বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৪
টিআর/এসআইএ