খাগড়াছড়ি: টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা মো. হারুন (৫২), নবম শ্রেণির পর আর পড়া হয়নি তার। আর তার ছেলে রাকিব হাসান (২৪) কোনোমতে এসএসসি পাস করতে পেরেছেন।
আর সেই ব্যবসা ছেড়ে খাগড়াছড়ি জেলায় গিয়ে বনে গেলেন এমবিবিএস ডাক্তার।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি। রোববার (০৩ মার্চ) দুপুরে জেলার দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের কাঁঠাল বাগান এলাকায় ভুয়া চিকিৎসা দিতে গিয়ে আটক হয়েছেন বাবা-ছেলে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ভুয়া চিকিৎসক হারুন ও রাকিবের বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার পাথালিয়া গ্রামে।
জানা যায়, কাঁঠাল পাড়া কেন্দ্রে চিকিৎসক সেজে স্থানীয় রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন হারুণ-রাকিব। ব্যবস্থাপত্রসহ নিজেদের সরবরাহ ওষুধও বিক্রি করছিলেন। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা প্রশাসনকে খবর দেয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত এসে তাদের আটক করে। এসময় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আটক হারুণ জানায়, তিনি নবম শ্রেণির বেশি পড়েননি এবং ছেলে রাকিব হাসান এসএসসি পাস করেছেন বলে জানায়।
এর আগে জুতা ব্যবসা করতেন বলেও আদালতকে জানান তারা।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুনুর রশীদ বলেন, আটক দুইজনের মধ্যে বাবা হারুনকে একমাসের এবং ছেলে রাকিব হাসানকে পনেরো দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২৪
এডি/এসএএইচ