ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পার্বত্য চট্টগ্রামের কোথাও অনিরাপত্তা নেই: কুজেন্দ্র লাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৪
পার্বত্য চট্টগ্রামের কোথাও অনিরাপত্তা নেই: কুজেন্দ্র লাল

ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা সব জায়গাতেই আছে। কোথাও অনিরাপত্তা নেই বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

তিনি বলেন, এ অঞ্চলে প্রচুর বিদ্যুৎ ও পানির সমস্যা রয়েছে। এজন্য স্যোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও পানির জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (০৬ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ও শেষ অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, জেলা প্রশাসকরা বিদ্যুতের বিষয়ে বেশি বলেছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুতের কথা বলেছেন। সেসব অঞ্চলে যারা বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত তাদের কাছে কীভাবে বিদ্যুৎ পৌঁছানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এটা পার্বত্য চট্টগ্রামের চলমান কার্যক্রম।

তিনি বলেন, জাতীয় বিদ্যুৎগ্রেডের আওতায় যেসমস্ত অঞ্চলে আগামী ২০ থেকে ২৫ বছরে বিদ্যুৎ যাবে না। সেখানে আমরা সোলার প্যানেল দিয়ে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছি। এ পর্যন্ত ৫৫ হাজার পরিবারকে সোলারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সেবার আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া এ এলাকায় পানির সংকট ব্যাপক। সেখানে হাটে, বাজারেসহ যেখানে যেখানে পানির সমস্যা সেখানে পানি দেওয়ার জন্য প্রকল্প চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে অনেক পাহাড় পর্বত সেটা আপনারা সবাই জানেন। প্রাকৃতিক যে পানির উৎস্য সেটা শুকিয়ে গেছে, কিছু বনাঞ্চল ধ্বংস হয়েছে সব মিলিয়ে কিছু সমস্যা আছে।

ভূমি নিয়ে একটা সমস্যা আছে সে বিষয়ে ডিসিদের কি নির্দেশনা দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূমি বিরোধের বিষয়ে একটা আইন প্রণীত হয়েছে। আরও কিছু বিধান আছে সেটা হয়ে গেলে কার্যক্রম শুরু হবে। আমাদের ভূমি কমিশন আছে সেখানে বিধিমালা হলে কাজ করা যাবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পর্যটকদের নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে নিরাপত্তা সব জায়গাতেই আছে। কোথাও অনিরাপত্তা নেই পার্বত্য চট্টগ্রামে। আপনারা সবাই পার্বত্য চট্টগ্রামে ঘুরে যান দেখতে পারবেন অনেক ভালোও লাগবে।

এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে থাকছে ৩৫৬ প্রস্তাব। প্রস্তাবগুলোর জনসেবা বৃদ্ধি, জনদুর্ভোগ হ্রাস করা, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনে বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২২টি প্রস্তাব পড়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে। সম্মেলনে সর্বমোট অধিবেশন ৩০টি। এর মধ্যে কার্য-অধিবেশন ২৫টি (১টি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, ১টি স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং মতবিনিময় এবং ১টি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং সদয় নির্দেশনা গ্রহণ এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানিকতা ২টি। এছাড়া অংশগ্রহণকারী কার্যালয়: ১টি (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়)।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২৪
জিসিজি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।