জামালপুর: জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর পর স্বজনদের বিরুদ্ধে তিনজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের ওপর হামলা ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।
আহত তিন ইন্টার্ন চিকিৎসক হলেন- মঞ্জুরুল হাসান, ফাহমিদুল ইসলাম ও তুষার আহমেদ। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়- রাত ৩টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর এলাকা থেকে গুল মাহমুদ নামের এক মুমূর্ষু রোগীকে আনা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করে দেন। এর আগে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা ওই রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত দেখতে পান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই রোগীর স্বজনেরা ইন্টার্ন চিকিৎসক মঞ্জুরুল হাসান, ফাহমিদুল ইসলাম ও ইন্টার্ন চিকিৎসক তুষার আহমেদকে মারধর করে ও চিকিৎসকদের একটি কক্ষের কম্পিউটারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সেহেরির সময় এক রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। এরপর রোগীকে পানি পান করানোর পর তার মৃত্যু হয়। পরে চিকিৎসকেরা নিচে নেমে এলে তাদের ওপর হামলা করে রোগীর স্বজনরা।
ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা জানায়, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা ও সব হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দেওয়া দাবিতে সকাল সাতটা থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল সহকারী পরিচালক (এডি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আমরা একটি মামলা করেছি। আমাদের তিনজন চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে। এছাড়া ডাক্তারদের কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে রয়েছে আমরা চেষ্টা করছি তাদের কাজে ফেরানোর।
জামালপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৪
এসএম