ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জিম্মি জাহাজের ফাইটার চাটখিলের সালেহকে ফেরত চায় পরিবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
জিম্মি জাহাজের ফাইটার চাটখিলের সালেহকে ফেরত চায় পরিবার মোহাম্মদ সালেহ আহমদ

নোয়াখালী: ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমডি আব্দুল্লাহর ২৩ জন নাবিকের মধ্যে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সিংবাহুড়া গ্রামের মোহাম্মদ সালেহ আহমদ রয়েছেন।

তিনি জাহাজটিতে ফাইটার পদে কর্মরত।

সালেহ ওই গ্রামের মৃত সাখায়াত উল্যার ছেলে। তিনি পরিবারের চার ভাই, এক বোনের মধ্যে সবার বড়।  

বুধবার (১৩ মার্চ) মোহাম্মদ সালেহ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক উৎকণ্ঠার মধ্য রয়েছেন তার স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তানসহ পরিবারটি।

স্ত্রী তানিয়া আক্তার জানান, বুধবার সকাল ৭টার দিকে অপহৃত সালেহ অজ্ঞাতনামা একটা ফোন থেকে কল করেন। এরপর প্রায় দুই মিনিট ধরে তিনি তার জন্য দোয়া করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান।

সালেহকে অক্ষতভাবে উদ্ধারের জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।  

জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়। প্রায় ৫০ জন সশস্ত্র জলদস্যু জাহাজটিতে উঠে নাবিকদের জিম্মি করে রেখেছে। এই ২৩ জন জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি নাবিকের মধ্যে দুইজনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। এর মধ্যে মো. আনোয়ারুল হক রাজু নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামের আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভারত মহাসাগরের এডেন উপসাগরে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সোমালিয়ান জলদস্যুরা। তারা জাহাজের ২৩ নাবিককে জিম্মি করে। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।