ঢাকা: আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ২০২৫ সাল থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য বাংলাদেশে তৈরি হবে। এই তথ্য জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন,আমরা এখন বোঝার চেষ্টা করছি, কোন কোন জায়গায় আগামী পাঁচ, দশ, পনেরো ও ২০ বছরে কী পরিমাণ বর্জ্য তৈরি হবে। যদি দরকার পড়ে, এখন থেকেই সেই সব জায়গা চিহ্নিত করে জমি অধিগ্রহণ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পরিকল্পনা হাতে নিতে যাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মার্কিন উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি ও ডাকা কলিংয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আরেকটি ইতিবাচক দিক আছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যারা আছেন, অনেকেই অনেক সময় বস্তিতে কাজ করেন, তাদের কীভাবে সম্পৃক্ত করা যায়, সেটাও ভাবা হচ্ছে। আমাদের একশ দিনের কর্মসূচিতে বলেছিলাম, জাতীয় পর্যায়ে সেটা নিয়ে একটা ফ্রেমওয়ার্কের (কাঠামো) কথা চিন্তা করছি। এখন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতে একটা চাপ আছে, কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, নগরায়ন যেভাবে হচ্ছে, এটার চাহিদা দিন দিন বাড়বে।
তিনি বলেন, আমাদের এখন প্রজেকশন হচ্ছে, ২০২৫ সাল থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য বাংলাদেশে তৈরি হবে। এটা একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ। এই বর্জ্য একদিকে পরিবেশকে ক্ষতি করে, অন্যদিকে জনস্বাস্থ্যের ওপরও এটার প্রভাব আছে। সেই বিষয়গুলো নিয়ে এখন থেকেই ভাবছি। কেবল বড়ো বড়ো শহরগুলোর কথাই ভাবছি না, আমাদের চিন্তা হচ্ছে সারা বাংলাদেশ।
মন্ত্রী বলেন, সার্বিকভাবে একটা পরিকল্পনা কীভাবে দাঁড় করানো যায়, সেটা নিয়ে ভাবছি। এছাড়া একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য চ্যালেঞ্জ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে একটা জাতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করতে পারি।
সাবের হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, কীভাবে বস্তিবাসীদের সম্পৃক্ত করা যায়, তা নিয়ে মার্কিন উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির সঙ্গে কথা হয়েছে। কারণ এতে ইনফরমাল সেক্টর একটা বড়ো ভূমিকা রাখে। সাভারে দেখবেন বর্জ্যগুলো এক জায়গায় চলে আসে। একেবারে উৎসেই যদি বর্জ্যকে আলাদা করা যায়, সেটা সবচেয়ে ভালো। নাহলে পরে আর আলাদা করা যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৪,২০২৪
জিসিজি/এমএম