ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: রাজধানীর সড়কে যানজট একটি নিত্য ব্যাপার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অফিস শুরু ও শেষের সময় যানজট সৃষ্টি হয়।

প্রতি বছর রমজান এলে এটি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। যার ব্যতিক্রম হয়নি এবারও।

এ বছর রমজানের শুরু থেকেই রাজধানীর সড়কগুলোতে তীব্র যানজট দেখা গেছে। অফিস শুরুর সময় যানজটের তীব্রতা কিছুটা কম থাকলেও, অফিস শেষে সেটি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। পবিত্র রমজানের তৃতীয় দিনেও দেখা গেছে একই চিত্র।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসের বিকেলে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ সড়কেই যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে। এতে সড়কগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যালগুলোতে যানবাহনের চাপ সামলাতে ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যদের হিমশিম খেতে দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বনানী, মহাখালী, বিজয় সরণি, কারওয়ানবাজার, তেজগাঁও, সাতরাস্তা, মগবাজার, বাংলামোটর, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, মিন্টু রোড, রামপুরা, বাড্ডা, নতুনবাজার, পল্টন এলাকায় যানবাহনের তীব্র চাপ রয়েছে। সিগন্যালগুলোতে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যানবাহনকে। তবে, মেট্রোরেল যেসব রুটে রয়েছে, সেসব রুটে তেমন যানজট নেই।

সাভার-যাত্রাবাড়ী রুটে চলাচলকারী এম এম লাভলী পরিবহনের হেলপার শিমুল বলেন, ট্যানিক্যাল, কলেজগেট, আড়ং, কারওয়ান বাজারে ব্যাপক যানজট রয়েছে। সকালের তুলনায় বিকেলে যানজট বেশি থাকে। আধা ঘণ্টার রাস্তা যেতে দেড় দুই, ঘণ্টা চলে যায়।

এদিকে যানজটের ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে থাকলেও বেশিরভাগ গণপরিবহণে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বাসের গেটে অনেককে ঝুলতে দেখা গেছে। চৈত্রের গরমে ভিড় ও যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেকে বিরক্ত হয়ে বাস থেকে নেমে হাঁটা ধরছেন। সারাদিন রোজা রাখার কারণে অনেকে তাও করতে পারছেন না। যানজটে বসে ভোগান্তি নিয়েই অপেক্ষা করছেন বাড়ি ফেরার।

এবার রমজানে সরকারি অফিসগুলোর সময়সূচি ঠিক করা হয়েছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা। মূলত অফিস শেষে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে বাসায় ফেরার তাড়া থাকে কর্মজীবীদের। যার চাপ পড়ে সড়কে।

কারওয়ান বাজার বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলনের খিলক্ষেতের বাসিন্দা আলমগীর। তিনি বলেন, পরিবারের সঙ্গে ইফতার করবো। তাই বাসায় যাচ্ছি। কিন্তু আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়েও একটি বাসে উঠতে পারিনি। অনেক ভিড় আজকে। আবার যানজটের কারণে গাড়িও কম।

একই কথা বলেন বাসের জন্য অপেক্ষা করা আরেক যাত্রী দীপা। তিনি বলেন, প্রায় ১৫ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি একটি বাস নেই। বাস এলেও উঠতে পারবো কিনা সন্দেহ। গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়াতে হয়, যা খুবই বিরক্তিকর। কিন্তু কিছু করার নেই। আবার এ জ্যামের কারণে ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছাতে পারবো কিনা কে জানে।

এ বিষয়ে তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি মোস্তাক আহমেদ বলেন, অফিস ছুটির পর সবাই ইফতার করতে একসঙ্গে বাড়ির পথ ধরে। তার উপর আজকে বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস। যার ফলে সড়কে যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে৷ কারণ রাস্তার ধারণক্ষমতার তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। তারপরও কোথাও গাড়ি দাঁড়িয়ে নেই। আমাদের পর্যাপ্ত জনবল আছে। পাশাপাশি রমজান ঘিরে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  সবাই যেন ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছাতে পারে আমরা সেই চেষ্টা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
এসসি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।