ঝালকাঠি: জেলার বাজার থেকে হঠাৎই মুরগি উধাও। নির্ধারিত দামে বিক্রির সরকারি নির্দেশনার পর বিক্রেতারা সব মুরগি সরিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ক্রেতারা বলছেন, পবিত্র রমজানের মধ্যে এটি অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়। সরকারকে বিব্রত করে আগের বাড়তি দামে মুরগি বিক্রির জন্যই এ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে কোনো ধরনের মুরগি নেই। দোকানের খাঁচা মুরগিশূন্য। ক্রেতারা দোকানের সামনে দিয়ে ঘুরে ঘুরে চলে যাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসকের বাজার মনিটরিং টিমের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ইতোমধ্যে মুরগির দোকানগুলোতে গিয়ে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রির নির্দেশনা দিয়েছেন। এরপরই বিক্রেতারা বিক্রি বন্ধ করে দেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বিক্রেতা শামীম, মাসুদসহ আরও কয়েকজনে জানান, পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে যে দামে মুরগি তারা কেনেন, তার চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশিতে বিক্রি করতে হয়। সরকারি নির্দেশনা মানলে তাদের লোকসান হবে। এ কারণেই তারা মুরগি বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।
তারা জানান, বর্তমানে পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে তাদের ২০০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার এবং ২৮৫ টাকারও বেশি দামে লেয়ার ও সোনালি মুরগি কিনতে হচ্ছে।
অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খামারিরা জানান, তারা ডিলার ছাড়া মুরগি বিক্রি করতে পারেন না। ডিলাররা মুরগি নিয়ে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। ডিলারদের কাছ থেকে পাইকারি বিক্রেতারা কিনে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনো খামারি যখন খামার শুরু করেন, তখন ডিলাররা তার পুঁজি সংকটের সুযোগ নিয়ে মুরগির বাচ্চা সরবরাহ করেন। বাচ্চা পরিণত হওয়ার পর খামারিরা নির্দিষ্ট ডিলার ছাড়া মুরগি বিক্রি করতে পারেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৪
আরএইচ