ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর এমন একটি গেটওয়ে যা বাংলাদেশের মাধ্যমে নেপাল, ভুটানের মতো ল্যান্ডলক (ভূবেষ্টিত) রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সংযোগ রক্ষা সহজতর করবে৷ মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নীতিগত সিদ্ধান্ত।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট এলডি হলে জাপানের সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের ওশান পলিসি রিসার্চ ইউনিট আয়োজিত ‘বাংলাদেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর: মাতারবাড়ি দ্বারা বঙ্গোপসাগরে নতুন দৃশ্যের সূচনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওশান পলিসি পিস ফাউন্ডেশনের রিসার্চ ফেলো ইমাদুল ইসলাম এবং গবেষক কামরান রেজা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, জাপানের সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের ওশান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ড. হাইডে সাকাগুচি, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি ইওয়ামা এবং জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ তমোহিডে ইচিগুছি কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘট। এই সমুদ্রবন্দর জলপথের মাধ্যমে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ সহজতর করার পাশাপাশি ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এই সমুদ্রবন্দর দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নিকট বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব তুলে ধরবে। মহাসাগরকে ব্যবহারের পাশাপাশি এর টেকসই উন্নয়নের দিকেও মনোযোগী হতে হবে।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৪
এসকে/এইচএ/