ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কাটা পায়ের পর এবার মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪
কাটা পায়ের পর এবার মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ 

বরিশাল: বরিশাল নৌ-বন্দরের পন্টুনে থামানো লঞ্চের পাখায় আটকে পড়া জাল ছাড়াতে গিয়ে কাটা পড়ে নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (২০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল নৌ-বন্দরের পন্টুন সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল।

মৃত জেলে হলো-আবেদ আলী (৩০) বরিশাল নগরের রসুলপুর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোহরাব সর্দারের ছেলে।  পাশাপাশি বেঁদে সম্প্রদায়ের জেলে আবেদ আলী তিনমাস বয়সী কন্যার জনক ছিলেন।

জানা গেছে, গত সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল নৌ-বন্দরের পন্টুনে থামানো লঞ্চের পাখায় আটকে পড়া জাল ছাড়াতে গিয়ে কাটা পড়ে নিখোঁজ হন জেলে আবেদ আলী।  ঘটনার পরপরই নিখোঁজ জেলের একটি কাটা পা উদ্ধার করা হয়, আর শরীরের অন্যান্য অংশ উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা তল্লাশিও করে। তবে তারা সেদিন কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি।  ঘটনার দুদিন পর আজ ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জেলে আবেদের স্ত্রী রুমা জানান, স্বামী, সে ও ভাগিনা ইয়াসিনকে নিয়ে কীর্তনখোলা নদীর নৌ-বন্দর এলাকায় জাল ফেলেন। স্রোতের টানে জাল গিয়ে নৌ-বন্দরে থাকা বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি পারাবাত-১১ লঞ্চের ইঞ্জিনের পাখায় আটকে যায়। লঞ্চের পেছনে থাকা এক কর্মচারীকে বলে পাখা থেকে জাল ছাড়াতে যায় স্বামী আবেদ। জাল ছাড়ানোর সময় ইঞ্জিন চালু দেয়। তখন কর্মচারীদের বললেও তারা বলে তাদের করার কিছু নেই।

তবে মরদেহ উদ্ধারের পর স্ত্রী রুমাসহ স্বজনরা জানান, গরিব বিধায় তারা কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে চান না।

আর তাই মরদেহের সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান বরিশাল সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে লঞ্চের পাখায় কাটা পড়ে জেলে আবেদ নিহত হয়েছেন। পাখায় কাটা পড়া একটি পা ঘটনার পর উদ্ধার করা হয়েছে।  পা বিহীন মরদেহ আজ উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কীর্তনখোলায় লঞ্চের পাখায় কাটা পড়ে নিখোঁজ জেলের পা উদ্ধার

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪
এমএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।