ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডিবি পরিচয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগ যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৪
ডিবি পরিচয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগ যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মাইকেল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. ইলিয়াস

সিরাজগঞ্জ: ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আটক করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতিসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।

তবে অভিযুক্তদের দাবি জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বগুড়া জেলার সদর থানার ফুলদিঘী গ্রামের আব্দুল মোমিনের ছেলে সজীব আহমেদ মনির (২৫) সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার ও রায়গঞ্জ থানার ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।  

অভিযুক্তরা হলেন - রায়গঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাইকেল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. ইলিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক আলাআমিনসহ আরও ৬ জন।

লিখিত অভিযোগে সজীব আহমেদ মনির উল্লেখ করেন, গত ৮ মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় তিনিসহ ৪ জন প্রাইভেটকারযোগে বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে ‘অভি হাইওয়ে ভিলা’ নামে এক রেস্তোরাঁয় খাবার বিরতি দেন তারা। খাওয়া শেষে ওঠার সময় মাইকেল, ইলিয়াস ও আলামিনসহ আরও ৬ জন প্রাইভেটকার ও মোটর সাইকেলযোগে এসে তাদের পথরোধ করে। তারা ডিবি পরিচয় দিয়ে জোর করে গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেয়। পরে দেশীয় অস্ত্র ধরে তাদের কাছে থাকা ব্যবসার ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে
নেয়।

সজীব আহমেদ মনির বাংলানিউজকে বলেন, আমি একজন ম্যানপাওয়ার ব্যবসায়ী। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সমেশপুর আমার দাদার বাড়ি। আমার মামা মকবুল হোসেন মুকুল সিরাজগঞ্জ জেলা
পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।  ঘটনার দিন রাতে আমি ব্যবসার টাকা নিয়ে দাদার বাড়ি যাচ্ছিলাম। রেস্তোরাঁর খাওয়া শেষ করে গাড়িতে ওঠার সময়ই হঠাৎ করে নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে আমাদের আটক করে কয়েকজন। আমাদের দুজনকে মারধরও করেন তারা। পরে জোর করে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে অভিযোগ দিতে দেরি হয়।

ঘটনার দিন বিষয়টি পুলিশকে অবগত করা হয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে অবগত করা হয়নি।

রায়গঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. মাইকেল টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের আগের দিন রাত ২টার দিকে আমরা নির্বাচনী ওয়ার্ক করে এসে হাইওয়ে ভিলায় খাচ্ছিলাম। সেখানে কিছু অপরিচিত লোক দেখে সন্দেহ হয়। তখন তাদের প্রশ্ন করি আগামীকাল নির্বাচন, আজ আপনারা এখানে কেন? এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এর থেকে বেশি কিছু নয়। নির্বাচন পরে শুনি এই অভিযোগ করেছেন।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. ইলিয়াস বলেন, ঘটনার ১৫ দিন পর আমরা অভিযোগের বিষয়টি জানতে পেরেছি। অভিযোগে কি বলা হয়েছে জানি না। তবে এটা জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ঘটনা। নির্বাচনে তারা একটি পক্ষ ছিল। তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে।

রায়গঞ্জ থানার ওসি মো. হারুন-অর-রশিদ জানান, আমরা এ বিষয়ে একটি লিখিত পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।