ঢাকা: প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে লাখো দর্শনার্থী এলেও এবার ছিল ব্যতিক্রম। এবারের স্বাধীনতা দিবসে হাতিরঝিল ছিল ফাঁকা।
রাজধানীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত হাতিরঝিলে সাধারণত সরকারি ছুটি ও জাতীয় দিবসগুলোতে উপচে পড়া ভিড় থাকে। তবে এ বছর একেবারেই ব্যতিক্রম। মূলত রমজান মাস চলায় স্বাধীনতা দিবসেও হাতিরঝিল ছিল একেবারেই ফাঁকা।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সরেজমিনে হাতিরঝিলের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা যায়, অল্প কিছু লোকজন ছাড়া তেমন কোনো দর্শনার্থীর দেখা যায়নি। হাতিরঝিলের ব্রিজগুলোতে যতটুকু দর্শনার্থী ছিল তাও তারা হাতিরঝিল দিয়ে চলার পথে বাইক অথবা গাড়িতে করে এসে হাতিরঝিলের ব্রিজগুলোর ওপর থেমে ছবি তুলে আবার তারা চলে যাচ্ছেন। আগে একটা সময় হাতিরঝিলের ব্রিজগুলোর ওপর এবং লেকের পাড়গুলোতে যে পরিমাণ দর্শনার্থী দেখা যেত সে তুলনায় এ বছর একেবারেই ফাঁকা।
স্বাধীনতা দিবসের ছুটির দিনে হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সিগুলো ছিল অনেকটাই যাত্রী শূন্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামপুরা ব্রিজ সংলগ্ন ওয়াটার ট্যাক্সির একজন দায়িত্বরত কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, অন্য বছর এরকম ছুটির দিনগুলোতে ওয়াটার ট্যাক্সির ব্যাপক চাহিদা থাকলেও এ বছর ঘুরতে আসা যাত্রী একদমই কম। সকাল থেকেই নিয়মিত ওয়াটার ট্যাক্সি সব জায়গায় চলাচল করছে কিন্তু সে তুলনায় যাত্রী পাচ্ছি না।
কয়েকজন দর্শনার্থীর সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, প্রতিবারই স্বাধীনতা দিবসে হাতিরঝিলে প্রচুর দর্শনার্থীরা আসেন। তবে এবার রোজার কারণে দর্শনার্থী আসেননি বলে জানান তারা।
ছুটির দিন উপলক্ষে পরিবার নিয়ে প্রায়ই ঘুরতে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মো. হানিফ মোল্লা তুষার। স্বাধীনতা দিবসের ছুটিতে এর ব্যতিক্রম করেননি তিনি। ছোট মেয়ে ফারহানা জেরিন তিহা এবং স্ত্রীকে নিয়ে ইফতার এবং কেনাকাটা করতে যাবেন গুলশানের পিংক সিটি শপিং মলে। শাহজাহানপুরের বাসা থেকে গুলশান যাবার পথে মাঝে মেয়েকে হাতিরঝিলের বিকেলের সুন্দর পরিবেশ দেখানোর জন্য কিছু সময় সেখানে কাটান।
তিনি বলেন, আজকে যেহেতু ছুটির দিন তাই প্ল্যান করেছি পরিবারকে নিয়ে শপিং করব এবং বাইরে ইফতার করবো। তাই হাতিরঝিলের সুন্দর বিকেলটা উপভোগ করার জন্য কিছুক্ষণ দাঁড়ানো। এরকম বন্ধ পেলেই সবসময় পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে বের হই বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৪
ইএসএস/আরআইএস