ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উৎসবে রঙিন পাহাড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৪
উৎসবে রঙিন পাহাড়

খাগড়াছড়ি: পুরাতন বছরের দুঃখ গ্লানি ভুলে নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় নদীতে ফুল নিবেদন করে করে প্রার্থনা করেছেন পাহাড়বাসী। এর মাধ্যমে পাহাড়ে শুরু হলো বৈসাবি উৎসব।

বৈসাবি তিন জাতিগোষ্ঠীর উৎসবকে বোঝানো হলেও পাহাড়ে বসবাসরত অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষ ভিন্ন ভিন্ন নামে এই উৎসব পালন করবেন।

খাগড়াছড়িতে চাকমা ও ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ সকালে নদী, ছড়াসহ পানির প্রাকৃতিক উৎসে ফুল দিয়ে গঙ্গাদেবীর কাছে সবার মঙ্গল কামনা করেন। শহরের খবং পড়িয়া এলাকা সংলগ্ন চেঙ্গী নদীর তীরে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সেজে তরুণ তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ জড়ো হন। সেখানে সংগৃহীত ফুল কলাপাতায় সাজিয়ে প্রার্থনা করেন তারা।

বছরের গুরুত্বপূর্ন ও আনন্দদায়ক দিনটিতে ছোটরাও বাবা মার হাত ধরে নদীর ধারে প্রার্থনায় মিলিত হয়। জেলা সদরের পেরাছড়া এলাকায় সংলগ্ন এলাকায় ত্রিপুরা জাতিগোষ্টীর মানুষ হারি বৈসুতে মিলিত হন। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে সেখানেও গঙ্গাদেবীর উদ্দেশে কলাপাতায় ফুল দিয়ে প্রার্থনায় সমবেত হন তারা। এ সময় সবাই নেচে গেয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। আয়োজনগুলো থেকে পরিবার পরিজনের সুখ সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। সেই সঙ্গে হানাহানি ভুলে শান্তি ও সম্প্রীতিতে বসবাস করার প্রার্থনা জানান তারা।

আগামীকাল (শনিবার, ১৩ এপ্রিল) বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরি করে আপ্যায়ন করা হবে। এর পরে নববর্ষের দিনের শেষে গুরুজনদের বস্ত্রদান করা হয় এবং মন্দিরে মন্দিরে চলে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান। মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয় বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে। উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ জলকেলী। সব দুঃখ ও পাপ ধুয়ে দিতে মারমারা একে অপরের দিকে পানি ছুড়ে মেতে উঠেন এদিন।

এদিকে, বান্দরবানের অপ্রীতিকর ঘটনার পর থেকে জেলার সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কিন্তু ঈদ ও পাহাড়ে বর্ষবরণ ঘিরে পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৪
এডি/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।