ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নাটোরে চেয়ারম্যান প্রার্থী অপহরণ: গাড়ি-অস্ত্র জব্দ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৪
নাটোরে চেয়ারম্যান প্রার্থী অপহরণ: গাড়ি-অস্ত্র জব্দ

নাটোর: নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের কাজে ব্যবহৃত সেই কালো রঙের মাইক্রোবাসসহ মো. আতাউর রহমান (৪৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ সময় মাইক্রোবাসের ভেতর থেকে দুইটি চায়না চাপাতি, একটি চায়না টিপ চাকু, একটি বার্মিজ কাটার, দুইটি দেশীয় রামদা, দুইটি স্টিলের পাইপ, দুইটি স্ট্যাম্প লাঠি, একটি চাপাতি, নির্বাচনের পোস্টার, হ্যান্ডবিল, ক্যালেন্ডার জব্দ করা হয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নাটোর পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।  

এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিংড়া উপজেলার চকপুর গ্রামের নিজ বাড়ির গ্যারেজ থেকে ওই মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার আতাউর রহমান উপজেলার চকপুর গ্রামের রবিউল্লাহ প্রামাণিকের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ১৫ এপ্রিল নাটোর জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা দেওয়া, মারপিট ও অপহরণের ঘটনা ঘটে। পরে কয়েক ঘণ্টা পর তার বাড়ির সামনে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে যায় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে সুমন আহমেদ নামে একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জানান, লুৎফুল হাবিব রুবেলের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধর করেন তারা। তাদের সঙ্গে আর কারা ছিলেন তাও স্বীকার করেন তিনি। এ ঘটনার পর থেকে মাইক্রোবাসটিকে উদ্ধার করা যাচ্ছিল না। পরে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহতের ভাই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামের (পিপিএম) সার্বিক দিক-নির্দেশনায় পুলিশের একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে নাটোর জেলার সিংড়া বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামির তথ্য ও দেখানো মতে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত কালো রঙের মাইক্রোবাসটি আসামির বসত বাড়ির গ্যারেজ থেকে জব্দ করা হয়। পরে গাড়ির ভেতরে তল্লাশি করে দুইটি চায়না চাপাতি, একটি চায়না টিপ চাকু, একটি বার্মিজ কাটার, দুইটি দেশীয় রামদা, দুইটি স্টিলের পাইপ, দুইটি স্ট্যাম্প লাঠি, একটি  চাপাতি, পলাতক আসামি সুজন ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির কাগজপত্র জব্দ করা হয়।

একই সঙ্গে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. লুৎফুল হাবিব রুবেলের অসংখ্য লিফলেট, স্টিকার লিফলেট, ক্যালেন্ডার সম্বলিত পোস্টার জব্দ করা হয়। তিনি আরও জানান, গাড়ির প্রকৃত মালিক কে তা জানার জন্য বিআরটিএকে জানানো হয়েছে। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা প্রকৃত মালিকের নাম জানাতে পারবো।

উল্লেখ্য, গত সোমবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে বিকেল ৪টার দিকে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতর থেকে কয়েকজন যুবক প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে মারপিট করতে করতে একটি কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা পর মুমূর্ষু অবস্থায় সিংড়ার সাঁঐল গ্রামে দেলোয়ারকে তার গ্রামের বাড়ির সামনে ফেলে রেখে আসে। দেলোয়ার হোসেন বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আরও পড়ুন: প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেন প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক রুবেল

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।