ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: পাটমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: পাটমন্ত্রী

ঢাকা: শিগগিরই পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে একটি সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন ও তা যথাযথ বাস্তবায়নে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তিনি বলেন, পাট পণ্য রপ্তানিকারক এবং সংশ্লিষ্টরা পাটের উৎপাদন থেকে শুরু করে পাট পণ্য নিয়ে গবেষণা, নকশার উন্নয়ন, বিপণনসহ বিভিন্ন বিষয়ে একটি সমন্বিত পথনকশা প্রণয়নের প্রয়োজন রয়েছে।

শিগগিরই এ সংক্রান্ত পথনকশা প্রণয়ন ও তা যথাযথ বাস্তবায়নে কার্যক্রম গ্রহণ করবো।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মোহাম্মদপুরে সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) আয়োজিত ‘বহুমুখী পাট পণ্যের একক মেলা’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নুরুজ্জামান, জেডিপিসির পরিচালক (যুগ্ম সচিব) গোপাল চন্দ্র দাশ প্রমুখ। তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এ মেলা ২৩ এপ্রিল শুরু হয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয়। পাট পণ্যের উৎপাদন খরচ যেসব দেশে সবচেয়ে কম তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। পাটের তৈরি গৃহসজ্জার পণ্যের চাহিদার পাশাপাশি পাটের তৈরি শপিং ব্যাগ, জিওটেক্সটাইল ও ফ্লোর কভারের চাহিদাও বাড়ছে।

তিনি বলেন, পাটকাঠির তৈরি চারকোলের চাহিদাও রয়েছে চীনসহ বিভিন্ন দেশে। এছাড়া পাটভিত্তিক জিওটেক্সটাইলের বৈশ্বিক বাজারের আকার ক্রমে বেড়েই চলেছে। এসব সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা পাটের উৎপাদনের দিকে যেমন গুরুত্ব দিচ্ছি, তেমনি মূল্য সংযোজিত পাটপণ্য উৎপাদনে আরও জোর দিচ্ছি। এজন্য জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন, ব্যবহার ও বাজার সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব সোনালি আঁশ পাট বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। শুধু তাই নয়, বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে পাটের ভূমিকা একটি স্বীকৃত ইতিহাস। স্বাধীনতার পর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাটশিল্পের উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সদয় নির্দেশনায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক পাটখাতে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে সরকার। বর্তমান মন্ত্রিসভার প্রথম সভায় পাটজাত পণ্যসহ তিনটি খাতকে তৈরি পোশাকশিল্পের বিকাশে যেভাবে সহায়তা দেওয়া হয়েছিল, প্রয়োজনে তেমন সহায়তা দিতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সে ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান এবং সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় এরকম মেলার আয়োজন করে পাট পণ্যের প্রচার ও প্রসারের জন্য জেডিপিসিকে নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে জেডিপিসি পাটপণ্য উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, ব্যবহারকারী এবং বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে অধিক যোগাযোগ স্থাপনে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। ইতোমধ্যে, এখাতের উদ্যোক্তারা বিভিন্ন প্রকার দৃষ্টিনন্দন, আধুনিক ও স্মার্ট পাটপণ্য উৎপাদন করছেন। যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। এসব পণ্যকে জনপ্রিয় করতে প্রচার প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করার কাজ চলমান রয়েছে। জেডিসিপির উদ্যোক্তরা ২৮২ রকমের বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন করেছে। যা পাটপণ্য হিসেবে গেজেট ভুক্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।