ঢাকা: বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ জালিয়াতির বিষয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জিজ্ঞাসাবাদের পর সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খান বলেছেন, শিক্ষাবোর্ডের প্রধান হিসেবে সনদ বাণিজ্যের দায় আমি এড়াতে পারি না।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টা ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খান বলেন, একটি ঘটনা ঘটেছে, এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। এক্ষেত্রে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত।
স্ত্রীকে গ্রেপ্তার এবং তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। গোয়েন্দা সংস্থা কি তথ্য পেয়েছে তাও কিছুই জানি না। গোয়েন্দা সংস্থা বের করেছে, এর বেশিকিছু জানি না।
২০ লাখ টাকা ঘুষের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন, এটির তদন্ত চলছে।
কী পরিমাণ সনদের বাণিজ্য হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিডিয়াতে শুনতে পেয়েছি পাঁচ কি সাড়ে পাঁচ হাজার। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রধান হিসেবে আপনার দায় আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই এর দায় আমি এড়াতে পারি না।
নিজের ওএসডি হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মিডিয়ায় একটি সংবাদ চলে আসছে এবং ডিবির কাছে তথ্য আছে সেজন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
পিএম/এমএম