ঢাকা: তীব্র তাপদাহে ১০ দিনে প্রান্তিক মুরগি খামারিদের ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এতে করে সংকট দেখা দিতে পারে ডিম ও মুরগির বাজারে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি সুমন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদের পর থেকে শুরু হওয়া চলমান তাপদাহের ফলে হিট স্ট্রোকের কারণে সারা দেশে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে; যার আনুমানিক মূল্য ২০ কোটি টাকা। এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে, ডিম ও মুরগি উৎপাদনে ৪ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে ব্রয়লার মুরগি ও ডিম সরবরাহ সংকট দেখা দিতে পারে।
ঈদের পর গত ১০ থেকে ১২ দিনে সারা দেশে ১০ লাখর বেশি ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালি মুরগি মারা গেছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ ব্রয়লার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ছিল লেয়ার মুরগি। সোনালীসহ অনন্যা ৫ শতাংশ মুরগি মারা গেছে। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২০০ কোটি টাকা। এতে খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে ডিম ও মুরগির উৎপাদন কমে যাবে।
এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কর্পোরেট ডিম মুরগি সরবরাহকারী ও তেজগাঁও ডিম সিন্ডিকেট কৃত্রিম সংকট তৈরি করবে। জুন থেকে তারা দাম বাড়তে শুরু করবে। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডিম ও মুরগির দাম মারাত্মক ভাবে বাড়বে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারের উচিত পোল্ট্রি খামারিদের রক্ষা করা।
সংগঠনটি খামারিদের মুরগির বাচ্চা ও পোল্ট্রি ফিডে ভর্তুকি ও সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখার কথা বলছে সরকার। এ ছাড়া মুরগির বাচ্চা ও পোল্ট্রি ফিড বিদেশ থেকে আমদানির অনুমতির ইঙ্গিতও দিয়েছে।
বিপিএর পক্ষ থেকে পোল্ট্রি খামারিদের তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় বেশ কিছু ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিয়েছে। যেগুলো হলো- মুরগির শেডে সঠিক বায়ু চলাচল নিশ্চিত করা; ধারণ ক্ষমতার মধ্যে কম মুরগি রাখা, পানিতে ভিটামিন-ভিত্তিক ওষুধ ব্যবহার না করে লেবু ও গুড় দিয়ে দুপুরে শরবতের ব্যবস্থা করা, মুরগির শরীরে পানি স্প্রে করা, শেডের ছাদে ভেজা পাটের ব্যাগ রাখা এবং নিয়মিত পানির থালা পরিবর্তন ও দুপুরে মুরগিকে খাবার না দেওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
এসএমএকে/এমজে