ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
ফরিদপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

ঢাকা: ফরিদপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি মো. ফিরোজ শেখকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গ্রেপ্তার আসামি ফিরোজ ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার কৃষ্ণনগর গ্রামের অজিদ শেখের ছেলে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানাধীন পরমানন্দপুর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন।  

তিনি জানান, ২২ এপ্রিল আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভুক্তভোগী মানসিক ভারসাম্যহীন নারী (৩২) তার বসবাসরত বাবার বাড়ির কাছে একটি দোকানে চা পাতা ও চিনি কিনতে যায়। চা পাতা ও চিনি কিনে বাসায় ফেরার সময় আসামি ফিরোজ অটোভ্যানে করে ভুক্তভোগীকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে অটোভ্যানে তুলে। এরপর সে ভুক্তভোগীকে ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানাধীন কৃষ্ণনগর এলাকার একটি মাঠে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ভুক্তভোগীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানায় ফিরোজের নামে একটি ধর্ষণ মামলা (নং-৭০) দায়ের করেন। মামলা দায়েরের বিষয়টি জানতে পেরে ফিরোজ আত্মগোপনে চলে যায়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে অপহরণপূর্বক ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১০।  

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি ফিরোজ মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে অপহরণপূর্বক ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। সে মামলা দায়ের পর থেকে নিজেকে আইনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়। গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
এসজেএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।