ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বিদ্যালয়ের বিষয়ে জেলাভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে কমিটি ও নীতিমালা গঠন করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
বিদ্যালয়ের বিষয়ে জেলাভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে কমিটি ও নীতিমালা গঠন করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা: আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে বিদ্যালয়ের বিষয়ে জেলাভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে নতুন নীতিমালা ও প্রতিটি জেলায় কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০২৪ জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।

সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মিলনায়তনে এই সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

বিদ্যালয় অবশ্যই শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের একেক জেলায় একেক ধরনের তাপমাত্রা হয়। যেসব জেলায় বছরের অন্যান্য সময় অতিবৃষ্টি, বন্যার কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারে না, স্কুল বন্ধ থাকে, সেসব জায়গায় শুষ্ক মৌসুমে শিক্ষা কার্যক্রম তাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিন্তু এখন এখন দেখা যাচ্ছে, এমন একটি আলোচনা হচ্ছে, রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সারাদেশে বিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি আসছে।

তিনি আরো বলেন, রাজধানী ঢাকাতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে আমরা অবশ্যই ঢাকা জেলায় বিদ্যালয় বন্ধ করতেই পারি। জেলাভিত্তিক এই সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য একটি প্রক্রিয়া আমরা ইতোমধ্যে দাঁড় করানোর চিন্তা করছি। জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা প্রশাসন দিয়ে প্রতিটি জেলায় একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। তারা আবহাওয়ার অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে জেলাভিত্তিক যাতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সেজন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করে দেবো।

তিনি আরো বলেন, সেই নীতিমালা অনুসারে দুর্যোগ হলে, আবহাওয়ার অবস্থা যদি সহনীয় না থাকে, সেটা শীতকালে অতিমাত্রায় শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে, গরমকালে তাপদাহের কারণে হতে পারে; সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট জেলায় যাতে তারা জেলাভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সেজন্য আমরা অবশ্যই একটি নীতিমালা প্রস্তুত করবো। যাতে করে কোনো কোনো গোষ্ঠী বা চক্র আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর বারংবার যে আক্রমণ আসছে, বিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়ার মতো খুবই অযৌক্তিক এবং অমানবিক দাবি আসছে, সেটা থেকে আমরা পরিত্রাণ পেতে পারি। যেটা ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে আছে। আমরা সেটাকে সামনের দিকে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত যাতে সেটা বিদ্যমান থাকে আমরা শীঘ্রই সেই ব্যবস্থা নেবো।

শনিবার মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের বিদ্যালয়গুলো যে একটি নির্দিষ্ট কর্ম দিবস আছে, সেখানে আমরা আমাদের প্রয়োজনেই এই মুহূর্তে শনিবার বিদ্যালয় খোলা রেখেছি। কারণ, বেশ কিছুদিন আমাদের বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এটা কোনো স্থায়ী বিষয় নয়। প্রয়োজন বোধে যে কোনো ছুটির দিন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার জন্য বিদ্যালয় খোলা রাখার কার্যক্রম ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এটি নতুন কিছু নয়। প্রয়োজনবোধে শুক্রবারও অনেক জায়গায় পরীক্ষা নেওয়া হতো, এখনো হয়। শনিবার হোক, শুক্রবার হোক, সেটা ভবিষ্যতে দেখা যাবে আমাদের প্রয়োজন সাপেক্ষে কোন কোন দিন বিদ্যালয় খোলা রাখতে পারবো।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক অনু বিভাগ) হারুনুর রশিদ মোল্লা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ উইং) প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
এসসি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।