সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ায় মিঠু প্রামানিক (৩০) নামের এক পোশাকশ্রমিককে কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে পালিয়েছেন তার স্ত্রী।
শুক্রবার (১০ মে) রাতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় এমন অভিযোগ দায়ের করেন আহত মিঠু প্রামাণিক নিজেই।
মিঠু বগুড়া জেলার গাবতলি এলাকার বাসিন্দা। তিনি আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় স্ত্রী-সন্তানসহ ভাড়া থেকে জামড়ার প্রীতি গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম সুমি আক্তার (২৫)। বগুড়ার গাবতলী এলাকার জলিল প্রামাণিকের মেয়ে তিনি। তার সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে মিঠু প্রামাণিকের বিয়ে হয়।
শনিবার (১১ মে) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন ফকির।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী তার স্ত্রী সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
ভুক্তভোগী মিঠু প্রামাণিক বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় দুই বছর আগে একই এলাকার জলিল প্রামাণিকের মেয়ে সুমির সাথে আমার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। আমার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ায় দ্বিতীয় বিয়ে করি। তাকে নিয়ে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় সন্তানসহ ভাড়া থেকে আমি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি। গত বৃহস্পতিবার অফিস থেকে বাসায় এলে আমাকে শরবত খেতে দেয় সুমি। শরবত তেতো স্বাদের হওয়ায় একটু খেয়ে আর খাইনি। আমাকে সেই শরবতের সাথে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় সে। পরে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম ভাঙলেও আবার ঘুমিয়ে পড়ি। এসময় সুমি একটি চাপাতি দিয়ে আমার হাত-পা কুপিয়ে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাকে সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করে। মোটামুটি সুস্থ হয়ে এসে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করি। আমার স্ত্রী যা চায় তাই আমি তাকে দিয়েছি। কিন্তু কী কারণে আমাকে কুপিয়ে পালালো বুঝতে পারলাম না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৪
এসএএইচ