হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় আলোচিত তিন খুনের প্রধান অভিযুক্ত বদরুল আলম ওরফে বদিকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় বানিয়াচং থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ তাকে আটকের তথ্য দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সংঘর্ষে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার দু-দিন পেরিয়ে গেলেও এ ব্যাপারে এখনও কোনো হত্যা মামলা দায়ের হয়নি।
এদিকে, তিন ব্যক্তি খুনের ঘটনায় আগোয়া গ্রামবাসীর নিরাপত্তা দিতে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করেছে পুলিশ। পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক সেখানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। ফলে হত্যাকাণ্ড পরবর্তী কোনো লুটতরাজের ঘটনা ঘটেনি।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৫৪ ধারায় বদরুল আলম ওরফে বদিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত তিনজনের পরিবার থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, বদির দেওয়া তথ্যের মাধ্যমে গ্রাম থেকে ৭টি ফিকল, ৫টি টেঁটা, ১টি রাম দা ও ২০টি ইটের টুকরো জব্দ করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।
এদিকে, বদরুল আলম বদি আটকের পর অসুস্থ অনুভব করলে তাকে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে আগোয়া গ্রামের অটোরিকশা স্ট্যান্ডের ম্যানেজার আব্দুল কাদিরের সঙ্গে গাড়ির সিরিয়াল ও যাত্রী ওঠানামা নিয়ে বদির ঝগড়া হয়েছিল। পরে সোহেল মিয়া ও বদির মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় পুলিশ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ হলেও পরে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বদি ও তার লোকজন ম্যানেজার আব্দুল কাদির (২৫) ও তার পক্ষের সিরাজ মিয়া (৫০) এবং লিলু মিয়াকে (৪০) পিটিয়ে হত্যা করে।
নিহত লিলু মিয়ার ভাই ঝিলু মিয়া (৪২) এবং আনু মিয়া (৩৫) গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৪
এসএএইচ