সাভার (ঢাকা): সাভারে চাঞ্চল্যকর শহিদুল ইসলাম (২৪) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনপূর্বক হোতা নুর আলম ওরফে টান আলমকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে করেছে র্যাব। রোববার (১২ মে) বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিপিসি-২, র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান।
তিনি জানান, শনিবার রাজধানীর রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। এ ঘটনায় জড়িত আরও একজন পলাতক। নুর আলম ওরফে টান আলম সক্রিয় কিশোর গ্যাং, ছিনতাই ও ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে।
র্যাব জানায়, ২৮ মার্চ সাভারের ছায়াবিথী আমতলা মোড় এলাকায় স্থানীয় ডেন্টাল কর্মচারী শহিদুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় আহত শহিদুলকে উদ্ধার করে প্রথমে সুপার ক্লিনিক পরে এনাম মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত শহিদুলের বড় ভাই বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রিকশাযোগে দুজনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। পরে রিকশা ও আসামি শনাক্ত করা সম্ভব হয়, যাদের একজন নুর আলম।
ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান নুর আলম। তিনি ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করতে থাকেন। শনিবার রাতে রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুর আলমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
সিপিসি-২, র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নুর আলম স্বীকার করেছেন, তিনিসহ বেশ কয়েকজন ছায়াবিথীসহ সাভারের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কিশোর গ্যাং, ছিনতাই ও ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তারা মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনের সঙ্গেও জড়িত। তারা বিভিন্ন সময়ে পথচারীদের গতিরোধ করে তাদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেন। ঘটনার দিন নুর আলমসহ পলাতক অপরজন মূলত মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্যই ছিনতাই করেন। তার বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে। নুর আলম ওরফে টান আলমের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৪
আরএইচ